প্রিয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কেমন আছ জানি না। তবে এটুকু জানি, আমি আর আমরাবিহীন তুমি খুব বেশি বেমানান। একটু ফ্যাকাশেও হয়তো হয়েছ এত দিনে, তোমায় স্পর্শ করে যত্ন নেওয়ার সময় যে হয়ে উঠছে না। আচ্ছা, তোমায় এমন অবহেলায় কি খুব অভিমান হয়? নাকি তুমিবিহীন আমাদের ভেতরের হাহাকার টের পাও?
বৈশাখের ঝড় কি তোমায় খুব বেশি এলোমেলো করে? জেনে রেখো, তোমার দূরত্বে হৃদয়ে যে উচাটন হাওয়া বয়, তা যে বৈশাখের তাণ্ডবকেও হার মানায়! মনে হয় ঠিক ঝড়ের গতির মতো তোমায় একটু ছুঁয়ে আসি!
প্রতি সন্ধ্যায় তোমার আলো আমাদের যে আড্ডাকে মাতিয়ে তুলত, সেখানে হয়তো ঠাঁই করে নিয়েছে অন্ধকার! একরাশ দুঃখে তোমারও হয়তো বুক ফাটে! তোমার বুকে ঠাঁই করে নেওয়া ফুলগাছেরা কি বিলীন? তোমার মাঠে গজিয়ে ওঠা ঘাসেরা কি প্রাণহীন? তোমার চওড়া রাস্তায় কি আমাদের চলাচল ছাড়াও কোনো স্পন্দন হয়? তোমার ক্যাফের ছাদে কি কেউ গান বাজায়? মুক্তমঞ্চে কি কোনো যুগল প্রেমের গল্প হয়? আমরাবিহীন তুমি কি কোনো আয়োজনে মেতে ওঠো? খুব জানতে ইচ্ছে করছে!
আচ্ছা, কাঁঠালগাছের কাঁঠাল কি কেউ চুরি করে, লুকিয়ে থাকা আমগাছটার খবর কিন্তু কাউকে দিয়ো না, আর হ্যাঁ, কৃষ্ণচূড়াগাছটার দিকে নজর রেখো। কোনো এক ক্ষণে আমরা তোমার কৃষ্ণচূড়ায় লাল হব, সেলফি নেব ইচ্ছেমতো। পারলে ছাতিমগাছটাকে আগলে রেখো, সেখানে যে হেমন্ত উৎসব হবে।
ভালো থেকো ভালোবাসা! সময়ের সঙ্গে তুমি রূপ বদলে হয়ে ওঠো অনন্ত যৌবনা, আমাদের ভালোবাসাময় অত্যাচারগুলো তোমাকে ব্যথা দিয়ে থাকলে কথা দিচ্ছি আর হবে না এমন, তুমিহীন দিনে আমরা তা অনুধাবন করছি।
লাল বাসে তোমার আঙিনায় হাজির হব আবার, সকালের সূর্য আবার আমাদের মুখোমুখি করবে, তখন নাহয় জেনে নিয়ো তোমার প্রতি আমাদের ভালোবাসার কথা। আর হ্যাঁ, তোমার অনুভূতিগুলো লিখে মেঘের ঠিকানায় পাঠিয়ে দিয়ো, বৃষ্টি হলেই হাতে পাবো...।
ইতি
তোমার বুকে যাদের পদচিহ্ন লেগে থাকে সব সময়
লেখক: শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়