প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস
কলাবাগান থানা ভবন নির্মাণ তেঁতুলতলা মাঠের বদলে অন্য কোনো জায়গায় সরিয়ে নেওয়া যায় কি না, সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। ওই মাঠ রক্ষার দাবি নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন আন্দোলনকারী পরিবেশবিদ ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ‘নিজেরা করি’র প্রধান নির্বাহী খুশী কবির, স্থপতি ইকবাল হাবীব ও উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সঙ্গীতা ইমাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কিছুটা আশা নিয়ে ফিরছি। উনার কথা শুনে বুঝেছি, উনি এটা সক্রিয় বিবেচনায় রাখবেন।’
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে এখানে যে কাজটা (নির্মাণকাজ) হচ্ছে, তা দ্রুত বন্ধ করাতে চাচ্ছি। আমরা চাচ্ছি যে এবারের ঈদের জামাত যাতে ওখানেই হয়, যেটা সব সময় হয়ে আসছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিকল্প জায়গা (থানার জন্য) খুঁজবেন। আমাদেরও বলেছেন, বিকল্প জায়গা খুঁজতে সহায়তা করতে।’
তেঁতুলতলা মাঠে চলমান নির্মাণকাজ বন্ধে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দেবেন কি না, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, তিনি নিজেও খেলার মাঠটার ব্যাপারে অনুভব করছেন। কিন্তু তাঁরা ২৭ কোটি টাকা দিয়ে দিয়েছেন। আমরা বলেছি, সেটা তো সরকারি কোষাগারেই আছে। সেখানে (কলাবাগানে) আরও অনেক পরিত্যক্ত জায়গা আছে।’
দেয়াল তুলে ফেললে ঈদের জামাত হতে পারবে না, বিষয়টি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘তখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দেয়াল নির্মাণের ব্যাপারে বলেছেন, “আমি এখনই ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলছি। আর এটার বিকল্প অন্য কোনো জায়গায় যাওয়া–সংক্রান্ত ব্যাপারে আমার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে হবে, যেহেতু আমরা টাকা দিয়ে দিয়েছি।”’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে প্রতিনিধিরা জানতে চান, এখান থেকে ফিরে শিশুদের কাছে গিয়ে কী বলবেন তাঁরা। ‘উনি (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বললেন, প্রধানমন্ত্রীকে জানাব বিষয়টি, বিকল্প মাঠের কথা,’ বলেছেন রিজওয়ানা হাসান।
নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা তাঁদের দাবি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রীকে একটি চিঠি লিখবেন। সে চিঠি আগামীকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন, চিঠিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন।