প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি: ওবায়দুল

বক্তব্য দিচ্ছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের
ছবি: দীপু মালাকার

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে দাতা সংস্থাগুলো সরে গিয়ে বাঙালি জাতিকে অপমান করেছিল। দুর্নীতির অপবাদ দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ মাথা নত করেনি।

সে সময়ের কথা স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন,  ‘কি দুঃসময়, কি চ্যালেঞ্জ, দেশে-বিদেশের চক্রান্ত—সবকিছুকে অতিক্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন, বাঙালি বীরের জাতি।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, সব ষড়যন্ত্রকে অতিক্রম করে নিজ অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু সক্ষমতার প্রতীক। এর মধ্য দিয়ে অপমানের প্রতিশোধ নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করা হবে, করা হয়েছে৷ তিনি প্রমাণ করেছেন, আমরাও পারি।’

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। সুধী সমাবেশে সরকারের মন্ত্রী, স্পিকার, রাজনীতিবিদ, কূটনৈতিক, শিক্ষাবিদসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নিচ্ছেন।

পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করাই চ্যালেঞ্জের ছিল উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এপার-ওপার দুপার ভাঙে, স্রোতে সেতুর নির্মাণসামগ্রী ভাসিয়ে নিয়েছে। শুরুতে কাজ ছিল কঠিন। পদ্মার দুই পারের মানুষ ফসলি জমি, পৈতৃক সম্পত্তি যাঁরা ত্যাগ করেছেন, তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই।’

পদ্মা সেতু নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর একক কৃতিত্ব উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশ থেকে দাবি উঠেছিল, কেন এই সেতুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম থাকবে না? কিন্তু প্রধানমন্ত্রী তা নাকচ করেছেন। সেতুর নাম রেখেছেন পদ্মা সেতু৷

সকাল ৯টার আগে থেকেই সুধী সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথিরা মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে আসতে শুরু করেন। ১০টার আগেই আসন গ্রহণ করেন অতিথিরা। ১০টায় মাওয়া প্রান্তের অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়সংকল্প কাছ থেকে দেখেছি। দুই পারের সাধারণ মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

তারা যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে, তা অভাবনীয়। এই সেতু নির্মাণে ৫ হাজারের বেশি কর্মকর্তা-শ্রমিক জড়িত ছিলেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই সেতু ১০০ বছরের স্থায়িত্বের, এটি রক্ষণাবেক্ষণে সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।’


অনুষ্ঠানের শুরুতেই বাংলাদেশে শিল্পকলা একাডেমি ও পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ নির্মিত থিম সং পরিবেশন করা হয়। চলচিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র পরিবেশন করা হয়।