প্রকাশক দীপন হত্যা: রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের আদালতে হাজির করতে পারেনি
প্রকাশক ফয়সল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে সাক্ষী হাজির করতে পারেনি। সাক্ষী হাজির না করায় মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১ ডিসেম্বর।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌঁসুলি গোলাম ছারোয়ার (পিপি) প্রথম আলোকে বলেন, প্রকাশক দীপনে হত্যা মামলায় আজ সাক্ষ্যগ্রহণের শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাক্ষী না আসায় শুনানির দিন পিছিয়েছে। পিপি গোলাম ছারোয়ার জানান, আগামী শুনানির তারিখে সাক্ষীদের আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যে সাক্ষীদের আদালতে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়েছে।
এর আগে গত ১৩ অক্টোবর প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় ছয়জন আদালতে হাজির ছিলেন। তখন নিজেরা আদালতের কাছে নির্দোষ দাবি করেন। মামলার পলাতক দুই আসামি জঙ্গিনেতা চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিবের বিরুদ্ধে আদালত আগেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
এর আগে গত ১৯ মার্চ প্রকাশক দীপন হত্যা মামলায় আটজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। মেজর জিয়া ও আকরাম ছাড়া অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ও মো. আবদুস সবুর ওরফে সামাদ।
আসামিরা সবাই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের নেতা বা সদস্য। এর মধ্যে মেজর জিয়া এই গোপন সংগঠনের কথিত সামরিক শাখার প্রধান। তাঁকে ধরিয়ে দিতে এর আগে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল পুলিশ সদর দপ্তর। অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনাকারী ও নেতৃত্বে ছিলেন সৈয়দ জিয়াউল হক।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতী প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই দিন প্রায় একই সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। দুই ঘটনায়ই আনসার আল ইসলামের জঙ্গিরা জড়িত বলে জানা গেছে।