পাহাড়ের সহিংস ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ থেকে আলাদা নয়। সারা দেশের মতো পার্বত্য এলাকার মানুষও যেন শান্তিতে বসবাস করতে পারে, ব্যবসা-বাণিজ্য ও যাতায়াত করতে পারে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। পাহাড়ে যেসব সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ির রামগড় থানা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আজ বুধবার সকালে রামগড় থানার ভবন উদ্বোধন করা হয়। সাত কোটি টাকা ব্যয়ে এ ভবন নির্মিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সারা দেশের মতো খাগড়াছড়িতেও দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালানো হবে। সে যত বড় ব্যক্তি হোক, দুর্নীতি ও টেন্ডারবাজি করে কেউ পার পাবে না। প্রয়োজনে পাহাড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, রামগড়-ভারত মৈত্রী সেতু নির্মাণকাজ শেষ হলে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ সহজ হবে। রামগড় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
ভবন উদ্বোধনের পর রামগড় সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আহমার উজ্জামানের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন ভারত প্রত্যাগত উপজাতীয় শরণার্থীবিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাংসদ বাসন্তী চাকমা, বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুর ইসলাম, গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহরিয়ার জামান, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্ডকার গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ।