পাম্প কেনায় সাড়ে ৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পাউবোর প্রধান প্রকৌশলীসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বুধবার দুদকের হবিগঞ্জ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে কমিশনের উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য সাংবাদিকদের এ নিশ্চিত করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) যান্ত্রিক সরঞ্জাম বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী চৌধুরী নজমুল আলম। অন্য আসামিরা হলেন—পাউবোর পাবনা সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও সাবেক প্রকল্প পরিচালক এস এম শহিদুল ইসলাম, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমান, ঢাকার কেন্দ্রীয় যান্ত্রিক সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আবু তালেব, ঢাকা যান্ত্রিক (পাম্প হাউস) বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম গোলাম সরওয়ার, পাউবোর নকশা সার্কেল-৩ (যান্ত্রিক)-এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আব্বাছ আলী, ডিজাইন সার্কেল-১ ঢাকার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আব্দুল বাছিত ও চাঁদপুর যান্ত্রিক উপবিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রুহুল আমিন।
এ ছাড়া ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিগমা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সৈয়দ আরশেদ রেজা এবং মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো. আবদুস সালামকেও আসামি করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের মনু নদীর সেচ প্রকল্পের অধীন কাশিমপুর পাম্প হাউস পুনর্বাসন প্রকল্পে আটটি পানির পাম্প কেনা হয়। দুদকের অনুসন্ধানে এর প্রকৃত মূল্য পাওয়া যায় ২০ কোটি ৪১ লাখ ৭ হাজার ৬০৩ টাকা। কিন্তু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে বিল দেওয়া হয়েছে ৫৪ কোটি ৮৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। এতে সরকারের ৩৪ কোটি ৪২ লাখ ১৭ হাজার ১৯৬ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে একে অপরের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধভাবে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে পাম্প ক্রয় করেন। এসব কারণে আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।