পাঁচজনের লাশ শনাক্ত, সাতজনকে খুঁজছে ফায়ার সার্ভিস
আগুন লাগার ঘটনা শোনার পর দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়েছিল ফায়ার সার্ভিসের সীতাকুণ্ড ও কুমিরা ইউনিটের দুটি দল। তাঁদের কেউ আগুন নেভাতে কনটেইনারে পানি দিচ্ছিলেন, আবার কেউ সঞ্চালন লাইন ঠিক করছিলেন। এমন সময় বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় রাসায়নিক থাকা কনটেইনারগুলো। এতে হতাহত হয়েছেন বহু মানুষ।
এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক মানুষ।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুনঃ
ছুটি শেষে কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার রাতেই প্রাণ গেল আলাউদ্দিনের
‘পুড়ে যাচ্ছি, মরে যাচ্ছি’ বলতে বলতেই মারা গেলেন মহিউদ্দিন
ভিডিও কলে কথা বলতে বলতে বিস্ফোরণ, সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সোবহানের
ডিপোতে দাঁড়িয়ে করছিলেন ফেসবুক লাইভ, হঠাৎ বিস্ফোরণে গেল প্রাণ
নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ কর্মীর লাশ শনাক্ত হয়েছে। তবে এখনো সাতজনের বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। নিহত ও নিখোঁজ ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের মধ্যে এই বাহিনীর দুজন টিম লিডার রয়েছেন।
সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. নুরুল আলম আজ রোববার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের পাঁচজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাঁরা হলেন টিম লিডার নিপুন চাকমা (৪৫), ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ফরিদ উদ্দিন (২২), সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী (২৫), রবিউল ইসলাম (২৪) ও মো. রমজান।
আর কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের এক কর্মকর্তা জানান, তাঁদের পাঁচজনের লাশ পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন রানা মিয়া (২২), আলা উদ্দিন (৩৫), মনিরুজ্জামান (৩০), শাকিল তরফদার (২৪) ও টিম লিডার মিঠু দেওয়ান (৫৫)। দুজন এখনো নিখোঁজ আছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের মধ্যে আছেন টিম লিডার ইমরান হোসেন (৩৫) ও শফিউল ইসলাম (২২)।
আজ রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ছিল একেবারে অন্য রকম। এমন ঘটনা সচরাচর দেখা যায় না। রাসায়নিক পদার্থের কনটেইনারগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তেই সব অন্ধকার হয়ে যায়।
গতকাল শনিবার রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন, উত্তাপ ও ধোঁয়া প্রত্যক্ষভাবে ছড়িয়েছে আড়াই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে। অনেক বাসাবাড়ির টিভি-ফ্রিজ নষ্ট হয়ে গেছে। ছাই আর পোড়া গন্ধে আশপাশের এলাকার শিশুরা বেকায়দায় পড়েছে।
ডিপোর আশপাশের অন্তত দুই কিলোমিটার এলাকায় বসবাসকারীরা বেশির ভাগই শ্রমিক। তাঁদের বসতঘরগুলো টিনশেডের। উঁচু দালানের সংখ্যা কম।