পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম যাত্রার আশা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চার লেনের দুটি সেতু খুলে দেওয়ার সুফল আসন্ন ঈদের সময় থেকেই পাওয়া যাবে বলে ব্যবহারকারীদের অভিমত। এর ফলে ঈদযাত্রার ঝক্কি কমবে বলে তাঁদের বিশ্বাস।
গতকাল শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মহাসড়কের মেঘনা ও গোমতী নদীর ওপর নির্মিত সেতু দুটির উদ্বোধন করেন। খুলে দেওয়ার পর সেতু দুটিতে যান চলাচল শুরু হয়।
তবে এর সুফল সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়নি। গতকাল রাতেও চট্টগ্রাম-ঢাকা যাত্রাপথে দূরপাল্লার বাস চলাচলে ছয় ঘণ্টা কিংবা তার চেয়েও বেশি সময় লেগেছে।
জানতে চাইলে সৌদিয়া পরিবহনের চট্টগ্রামের ইনচার্জ জুয়েল দাশগুপ্ত বলেন, আস্তে আস্তে সেতুর সুফল পাওয়া যাবে। সড়কে আগে থেকে যানজট থাকায় সুফল পেতে সময় লাগছে। এই সেতু দুটির কারণে সাড়ে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকা যাওয়া সম্ভব হবে। ঈদে এর সুফল মিলবে।
সেতুর ফলে পণ্য পরিবহনও সহজ হবে বলে মনে করছেন ব্যবহারকারীরা। সময় ও খরচও কমবে। গুডলাক ট্রান্সপোর্টের স্বত্বাধিকারী শিমুল পাল বলেন, ‘সেতুর কারণে এত দিন যানজট হতো। দুই লেনের সেতুর দুই পাশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় ব্যয় হতো। এখন এটা হবে না। পাঁচ ঘণ্টায় ঢাকায় পণ্য পরিবহন করা যাবে বলে আশা করছি।’