পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে পাল্টাতে হবে মুসলিম বিশ্বকে

পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে মুসলিম বিশ্বকে পাল্টাতে হবে। আর একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) আধুনিকায়নের কোনো বিকল্প নেই। ওআইসির মহাসচিব একমেলেদ্দিন ইহসানুগলু গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় এ অভিমত ব্যক্ত করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ‘একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ওআইসির পরিকল্পনা’ শিরোনামে বিশেষ বক্তৃতায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।ওআইসির মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান বিশ্ব সত্যিকার অর্থেই ব্যাপক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে। ২০ বছর আগে আমরা যেখানে ছিলাম, আজ সেখানে নেই। স্নায়ুযুদ্ধোত্তর বিশ্বে ক্ষমতার ভরকেন্দ্রেও লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নেতৃত্বদানকারী ভূমিকার জায়গাটি দখল করতে যাচ্ছে চীন ও ভারত। সামগ্রিক এ প্রেক্ষাপটে ওআইসিকে পাল্টাতে হবে। আমরা চাই, পরিবর্তনশীল সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পারঙ্গম হয়ে উঠুক মুসলিম বিশ্ব।’ওআইসির নবম মহাসচিব বলেন, পরিবর্তনশীল এ সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগোতে পারলে অতীতের চেয়ে অনেক ভালো থাকবেন ওআইসির সদস্যরা। পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরে ২০০৫ সালে মুসলিম নেতারা ওআইসির ১০ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নেন। এ কর্মপরিকল্পনার লক্ষ্যই হচ্ছে সংস্থার আমূল পরিবর্তন। এ ছাড়া তিনি গত বছরে গৃহীত ওআইসির সনদের উল্লেখ করেন।ওআইসির মহাসচিব সব ধরনের উন্মাদনা, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তুলে ধরে বিভিন্ন ধর্মের মাঝে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সংলাপ আয়োজনের ওপর গুরুত্ব দেন।সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক আশা প্রকাশ করেন, একমেলেদ্দিন ইহসানুগলুর নেতৃত্বে ওআইসি গতিশীল হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হারুন অর রশিদ।