পরিত্যক্ত কাগজের কনটেইনারে মিলল পুরোনো ফটোকপিয়ার

আমদানিকারকের ঘোষণা অনুযায়ী, ৪০ ফুট দীর্ঘ কনটেইনারে থাকার কথা ১৭ টন পরিত্যক্ত কাগজ (ওয়েস্ট পেপার)। এ জন্য ২৫ হাজার টাকা শুল্ক-কর পরিশোধও করা হয়। তবে ওই কনটেইনার খুলে শুল্ক কর্মকর্তারা পরিত্যক্ত কাগজের বদলে কার্টনে পেয়েছেন আমদানি নিষিদ্ধ পুরোনো ফটোকপিয়ার মেশিন, কম্পিউটার প্রিন্টারসহ অন্যান্য পণ্য। এগুলোর দাম প্রায় দেড় কোটি টাকা।চট্টগ্রামের কুমিরায় বেসরকারি অভ্যন্তরীণ পণ্যাগার কেডিএস লজিস্টিকস লিমিটেডের ইয়ার্ডে গত বুধবার সকালে এ বিষয়টি ধরা পড়ে। প্রায় একই সময়ে এই ইয়ার্ডে শুল্ক কর্মকর্তাদের আরেকটি দল অপর একটি কনটেইনার খুলে রপ্তানি নিষিদ্ধ সুগন্ধি চাল পান।শুল্ক বিভাগের হিসাবে দেখা গেছে, ঢাকার ইব্রাহিমপুরের মিদোরি করপোরেশনের পরিত্যক্ত কাগজের ঘোষণা দিয়ে আনা কনটেইনারে পাওয়া গেছে ১৫৩টি ফটোকপিয়ার মেশিন, ৩৫টি কম্পিউটার প্রিন্টার, পাঁচটি এলসিডি টেলিভিশন, ৪৮৩টি ফটোকপিয়ার মেশিনের যন্ত্রাংশ এবং ৯২টি কর্ডলেস ফোন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত কাস্টম হাউসের উপকমিশনার সামছুল ইসলাম বলেন, আমদানিকারক মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ পুরোনো ফটোকপিয়ার মেশিন এবং অন্যান্য পণ্য আমদানি করেছেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা আমদানিকারকের প্রতিনিধি সি অ্যান্ড এফ এজেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ আজিজ হাওলাদার বলেন, ‘আমদানিকারক আমাকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করেছেন।’ অন্যদিকে হবিগঞ্জের শায়েস্তানগরের এ এইচ কে এন্টারপ্রাইজ ৬৬৩টি কার্টনে ১১টি পণ্য কানাডার টরন্টোতে রপ্তানির ঘোষণা দেয়। অথচ ওই কনটেইনার খুলে দেখা যায়, এসব কার্টনের ২৬৭টিতেই রয়েছে রপ্তানি নিষিদ্ধ প্রায় সাত টন সুগন্ধি চাল। এই চালের আনুমানিক মূল্য পাঁচ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে এ এইচ কে এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোবাইল ফোনে বলেন, ‘কারও ভুলে চালের প্যাকেট চলে গেছে। বিষয়টি আমি জানতাম না।’ নাম জানতে চাইলে তিনি জানান, পরে জানাবেন।