পটিয়ায় পানিতে ডুবে আ.লীগ নেতার ছেলের মৃত্যু
গ্রামে ঈদ মানেই অন্য রকম আনন্দ। সেই আনন্দ নিতে সপরিবারে বাড়িতে এসেছিলেন সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ। সবাই মিলে যখন কোরবানির পশুর মাংস কাটা নিয়ে ব্যস্ত, তখন শিশুসন্তান ঘর থেকে বের হয়ে গেছে। কাজের ব্যস্ততায় কেউ খেয়ালই রাখতে পারেননি। খেয়াল যখন হয়েছে, ততক্ষণে সে পানিতে ডুবে মারা গেছে। সন্তান হারানোর বেদনায় ঈদের আনন্দ মাটি হয়ে গেছে মোরশেদের পরিবারে।
পেশায় প্রকৌশলী মোরশেদ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার বরলিয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাড়ৈকাড়া গ্রামের বাসিন্দা। পরিবার নিয়ে থাকেন চট্টগ্রাম নগরীতে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বঙ্গবন্ধু শিশু–কিশোর মেলার সাবেক সভাপতি। মারা যাওয়া শিশুসন্তানের নাম সৈয়দ আহনাফ মোরশেদ (৩)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানায়, তিন দিন আগে চট্টগ্রাম নগরীর বাসা থেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে আসেন সৈয়দ মোরশেদ উল্লাহ। শনিবার সকালে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ শেষে গরু কোরবানি দিয়ে মাংস কাটায় ব্যস্ত ছিলেন মোরশেদ উল্লাহসহ পরিবারের সবাই। এ সময় ছোট ছেলে আহনাফ ঘর থেকে বের হয়। কিছুক্ষণ পর তাকে না পেয়ে সবাই খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে এলাকায় মাইকিংও করা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাড়ির পেছনের পুকুরে আহনাফকে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।
শিশুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবু শিশুটি বেঁচে আছে, এমন আশায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনেরা। সেখানেও তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
বরলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহীনুল ইসলাম বলেন, প্রকৌশলী মোরশেদের দুই ছেলে ও এক মেয়ে। সৈয়দ আহনাফ সবার ছোট। ঈদের দিনে তার এমন মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।