নোয়াখালীতে গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার ৫
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাড়িতে হামলা চালিয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় এজাহারভুক্ত একজনসহ পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১১–এর লক্ষ্মীপুর ক্যাম্প এবং বেগমগঞ্জ থানা-পুলিশের পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মো. হারুন (৪৫) এবং তাঁর চার সহযোগী ও বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনার আসামি আনোয়ার হোসেন (৪৫), মো. পারভেজ (২৪), পেয়ার আহম্মেদ ওরফে তারেক (২৫) এবং সামছুল আলম ওরফে রাসেল (২৩)।
এদিকে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা আজ শনিবার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার ধর্ষণের অভিযোগে ওই নারী হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করে রাখা হয়। বাকি পরীক্ষা আজ সম্পন্ন হয়। তবে পরীক্ষার প্রতিবেদন পেতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলে জানান আরএমও সৈয়দ মহিউদ্দিন।
র্যাবের লক্ষ্মীপুর ক্যাম্পের কমান্ডার পুলিশ সুপার নরেশ চাকমা প্রথম আলোকে বলেন, গণধর্ষণের ঘটনাটি জানার পরই তাঁরা আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা শুরু করেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার হিরাপুরে অভিযান চালিয়ে এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি হারুনকে তাঁর দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের থানায় হস্তান্তর করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নূর এ আলম প্রথম আলোকে বলেন, গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় অজ্ঞাত হিসেবে যাঁদের আসামি করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
গতকাল পুকুরে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে স্বামীর সঙ্গে বিরোধের জের ধরে একই এলাকার হারুন, সাইফুল ও বাবুর নেতৃত্বে ৫০-৬০ জনের একদল লোক ওই গৃহবধূর বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা বসতঘরের বেড়া কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে এবং ঘরের ভেতরে ভাঙচুর করে। এ সময় হারুন, সাইফুল ও বাবু ওই গৃহবধূকে ঘরের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতেই ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।