২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

নুরুলের ওপর ডিম নিক্ষেপের নিন্দা ছাত্রলীগের সাদ্দামের, তবে...

ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।
ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলে ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হকের ওপর ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) সাদ্দাম হোসেন। তবে তিনি মনে করেন, এটি প্রতিবাদের একটি ভাষা।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ডিম ছোড়া আধুনিক গণতন্ত্রের প্রতিবাদের একটি ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল একটি নীতিগর্হিত ও শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করার কারণে ডাকসুর ভিপিকে এমন একটি অবমাননাকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। দায়িত্বশীল আচরণ করলে ভবিষ্যতে তিনি এ ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হবেন না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে উদ্ভূত পরিস্থিতি সম্পর্কে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে সাদ্দাম এসব কথা বলেন।

এসএম হলে ছাত্রীদের ওপর হামলার অভিযোগের বিষয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এগুলো আকাশ-কুসুম অভিযোগ। হামলার প্রশ্নই আসে না। হামলার নাটক সাজিয়ে ছাত্রলীগের চরিত্রহননের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

নুরুলের সমালোচনা করে এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘জনপ্রিয়তা কাড়ার একটি প্রবণতা তাঁর আছে। সে বিষয়টি রপ্ত করে তিনি ভিপি নির্বাচিত রয়েছেন। তবে যে গুজবের ওপর ভিত্তি করে তিনি এসএম হলে রীতিমতো হানা দিয়েছেন, তা গঠনতন্ত্র ও শিষ্টাচারবিরোধী কাজ। তাঁর দর-কষাকষি করার আইনানুগ পদ্ধতি আছে। সেটি না করে তিনি নৈরাজ্যবাদীদের মতো মিছিল নিয়ে গেছেন। তিনি ডাকসুর ভিপি পদটির ধারাবাহিক অবমাননা করছেন। এর ঐতিহ্যবাহী গুরুত্বকে হাস্যকর করে তুলছেন।’

নুরুলের সংগঠন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদকে ‘তথাকথিত ভুঁইফোড় সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দেন সাদ্দাম হোসেন। নুরুলদের সঙ্গে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের অবস্থানের সমালোচনাও করেন তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী ফরিদ হাসানকে এসএম হল শাখা ছাত্রলীগ ও হল সংসদ নেতাদের নেতৃত্বে গত সোমবার রাতে মারধর করা হয়। হল সংসদের নেতারা ফরিদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা ও সেবনের অভিযোগ তোলেন। ওই ঘটনার বিচার চেয়ে গতকাল বিকেলে হলের প্রাধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিতে গিয়েছিলেন ভিপি নুরুল হকসহ অভিযোগকারীরা। তাঁরা হলটির ভেতরে গেলে সেখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এরপর সন্ধ্যায় হলটি থেকে বের হতে গেলে ডাকসুর ভিপি নুরুল হক ও সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, শামসুন নাহার হলের ভিপি শেখ তাসনীম আফরোজ, ছাত্র ফেডারেশন থেকে ডাকসুর জিএস পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা উম্মে হাবিবা, স্বতন্ত্র জোট থেকে ভিপি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা অরণি সেমন্তি খানসহ বেশ কয়েকজনকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।