নির্বাচিত দুজন নতুন, দুজন পুরোনো মুখ
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজারের চারটি আসনের মধ্যে দুটিতে বর্তমান সাংসদেরা জয় পেয়েছেন। বাকি দুজন নতুন মুখ। তাঁদের একজন এবারই প্রথম সাংসদ হলেন। অন্যজন এর আগে একবার সাংসদ হয়েছেন। চারটি আসনের মধ্যে দুটি আসনে বর্তমান সাংসদেরা দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় এবার প্রার্থী হননি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা-জুড়ী) আসনে এবার জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মো. শাহাব উদ্দিন। তিনি বর্তমান সাংসদ ও জাতীয় সংসদের সরকারদলীয় হুইপ। এ নিয়ে তিনি চারবার সাংসদ হলেন। তিনি প্রথম সাংসদ হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে। এরপর হন ২০০৮ ও ২০১৪ সালে।
মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনে এবার সাংসদ হয়েছেন ধানের শীষ প্রতীকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ। তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। সুলতান মোহাম্মদ মনসুর প্রথম সাংসদ হন নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৯৯৬ সালে। এরপরে আর কখনো তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। এবার নতুন দল, জোট ও নতুন প্রতীকে নির্বাচন করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। দল, জোট ও প্রতীক নতুন হলেও তিনি নিজেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বলেই মনে করেন।
এ আসনে বর্তমান সাংসদ আওয়ামী লীগের আবদুল মতিন। তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। পরে দলের সিদ্ধান্ত মেনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো প্রার্থীই ছিল না। দলটি জোটের শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশকে আসনটি ছেড়ে দেয়। বিকল্পধারা থেকে এখানে প্রার্থী হয়েছিলেন এম এম শাহীন। তবে তিনি মনসুরের কাছে হেরে গেছেন।
মৌলভীবাজার-৩ (মৌলভীবাজার সদর-রাজনগর) আসনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের নেছার আহমদ। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবারই প্রথম তিনি নির্বাচনে অংশ নেন। এ আসনে বর্তমান সাংসদ সৈয়দা সায়রা মহসিন। তিনি এবার আর দল থেকে মনোনয়ন পাননি। প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী মারা গেলে তাঁর স্ত্রী সৈয়দা সায়রা মহসিন উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসনে জয়লাভ করেছেন আওয়ামী লীগের মো. আব্দুস শহীদ। তিনি জাতীয় সংসদের সাবেক চিফ হুইপ এবং এ আসনের বর্তমান সাংসদ।
এ নিয়ে আব্দুস শহীদ ষষ্ঠবার সাংসদ হলেন। আব্দুস শহীদ প্রথম নির্বাচিত হন ১৯৯১ সালে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।