২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

নির্বাচনের ফল নিয়ে গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়েছেন ইসি সচিব

ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি: ইউএনবি
ইসি সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। ছবি: ইউএনবি

সদ্য শেষ হওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত আসন পেয়েছে, সেই ঘোষণা দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ গণমাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়েছেন।

৩১ ডিসেম্বর ভোরে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করতে গিয়ে হেলালুদ্দীন গণমাধ্যমকে বলেছেন, জাতীয় পার্টি (জাপা) সব মিলিয়ে ২০টি আসন পেয়েছে। বাস্তবে জাতীয় পার্টি পেয়েছে ২২টি আসন। এই তথ্য সংশোধন করে ইসি সচিবালয় থেকে এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে সচিব হেলালুদ্দীনকে ফোন দিলে তা ধরেন ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাইদুর রহমান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্যার বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। সেদিন তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে এই ভুল হয়েছে। আসলে জাতীয় পার্টির আসনসংখ্যা হবে ২২।’

৩০ ডিসেম্বর সংসদের ২৯৯টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই দিন ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সারা রাত জেগে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ করেন। ইসি সচিবালয় সূত্র জানায়, সেদিন রাতে তাড়াহুড়ো করে কাজ করতে গিয়ে জাপার কাজী ফিরোজ রশীদ (ঢাকা-৬) ও ফখরুল ইমামকে (ময়মনসিংহ-৮) আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে গোনা হয়েছে। যে কারণে জাপার আসন কমে ২০টি হয়ে যায়।
নির্বাচনের ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়, ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ ৯৩ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী পেয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৬৯০ ভোট। ময়মনসিংহ-৮ আসনে ফখরুল ইমাম পেয়েছেন ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৯ ভোট। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী গণফোরামের এ এইচ এম খালেকুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৬৩ ভোট।

একই দিন ফল ঘোষণা দিতে গিয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আওয়ামী লীগের আসনসংখ্যাতেও ভুল করেছেন। তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৯টি আসন। বাস্তবে আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৫৭টি আসন। মূলত আওয়ামী লীগকে দুটি আসন বাড়িয়ে দেওয়ার কারণেই জাতীয় পার্টির দুটি আসন কমে যায়। এ বিষয়েও ইসি সচিবালয় থেকে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।

এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সব মিলিয়ে ২৬০টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়। দলটি হেরেছে তিনটি আসনে। আওয়ামী লীগের পরাজিত তিন প্রার্থী হলেন—জিয়াউর রহমান (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২), আবদুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩) ও কাজী জাফর উল্লাহ (ফরিদপুর-৪)। এই তিন আসনে জিতেছেন যথাক্রমে বিএনপির আমিনুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মুজিবর রহমান চৌধুরী।