নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে: ড. কামাল
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। সরকার পুলিশকে মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, পুলিশকে ব্যবহার করে যেভাবে হয়রানি, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, তা সংবিধানপরিপন্থী। তফসিল ঘোষণার পরও পুলিশ যেভাবে গ্রেপ্তার চালাচ্ছে, সেটিকে লজ্জাকর বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আজ বুধবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে আয়োজিত ‘মানবাধিকার, সুশাসন ও ভোটাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. কামাল এসব কথা বলেন। ৭০তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ও বিজয়ের ৪৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ মানবাধিকার ফেডারেশন (বিএইচআরএফ)।
ড. কামাল হোসেন অভিযোগ করেন, ‘পুলিশ রাস্তায় রাস্তায় হয়রানি করছে। বিনা কারণে গ্রেপ্তার করছে। কোনো নির্বাচনের আগে এমন অবস্থা দেখিনি। সরকারকে বলব, পুলিশকে এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেন।’ এমন শাসন আগে দেখেননি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এটিকে কেউ সুশাসন বললে বলব, মিথ্যা বলছেন। কেউ যদি বলেন দেশে সুশাসন আছে তাহলে বলব, আপনি মিথ্যুক।’
সরকারের উদ্দেশে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হতে থাকলে, পুলিশকে অপব্যবহার করতে থাকলে আপনাদের শাস্তি হবে, এটি মনে রাখবেন। আইনের শাসনের অনুপস্থিতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা অমান্য করে দেশ চলতে পারে না।’ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরেও মানবাধিকার লঙ্ঘন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি দেখতে হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাষ্ট্র চালানোর সুযোগ দিতে জনগণের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে আরও পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকতে চান। এরপর পাঁচ বছর পর আবার বলবেন, আরও কিছু কাজ অসমাপ্ত আছে, আবার ক্ষমতায় আনলে করে দেব। এভাবে চলতে পারে না।’
বিএইচআরএফের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহানের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের চেয়ারম্যান ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জয়নুল আবেদীন, বার অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি গোলাম রহমান প্রমুখ।