প্রতিবছর দেশে ১২ থেকে ১৩ হাজার মানুষ অগ্নিকাণ্ডে মারা যায়। এর মধ্যে বড় অংশেরই মৃতের কারণ শিল্প-কারখানা ও আবাসিক এলাকার রাসায়নিক গুদামে আগুন লাগা। অগ্নিদগ্ধদের চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় আগের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমলেও অগ্নিকাণ্ডের কারণগুলো এখনো দূর হয়নি। গতকাল সোমবার ২০১০ সালের নিমতলী অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১২৯ জনের স্মরণে আয়োজিত শোভাযাত্রা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানানো হয়। নিমতলী ট্র্যাজেডির স্মরণে ৩ জুনকে অগ্নিসচেতনতা দিবস হিসেবে পালনের অংশ হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। বার্ন ইউনিটের প্রধান সামন্ত লাল সেনের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ও অন্য কর্মীরা অংশ নেন। শোভাযাত্রাটি সকাল ১০টায় বার্ন ইউনিট থেকে শুরু হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হয়ে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফিরে আসে। সংবাদ সম্মেলনে সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশে প্রতিবছর ১২ থেকে ১৪ লাখ মানুষ বিভিন্ন কারণে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হয় ৫০ হাজার, মারা যায় ১২ থেকে ১৩ হাজার মানুষ। শুধু গত বছরই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৫৪ হাজার মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে বলে জানান তিনি। সামন্ত লাল সেন আরও বলেন, নিমতলীতে অগ্নিকাণ্ডের প্রধান কারণ আবাসিক এলাকায় রাসায়নিকের গুদাম। তা এখনো রয়ে গেছে। শিল্প-কারখানাতেও আগুন লাগছে। ফলে শিল্প-কারখানায় অগ্নিনিরোধক-ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিকের কারখানা সরাতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে বার্ন ইউনিটের ক্লিনিক্যাল চিফ কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক সাজ্জাদ খোন্দকার বক্তব্য দেন।