নারায়ণগঞ্জের সেই মাদ্রাসা অধ্যক্ষের রিমান্ড মঞ্জুর
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা ও যৌন হয়রানির অভিযোগে গ্রেপ্তার বাইতুল হুদা ক্যাডেট মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল আমিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাউসার আহমেদ এ আদেশ দেন।
আজ আল আমিনকে আদালতে হাজির করে পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে। আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, র্যাবের দায়ের করা মামলায় আল আমিনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। ওই মাদ্রাসাশিক্ষকের কাছ থেকে জব্দ করা মুঠোফোন, কম্পিউটারসহ আলামত পরীক্ষার জন্য সিআইডির কাছে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলায় নির্যাতনের শিকার ৪ শিশু ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে আদালতে। তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় রিমান্ড শেষ হলে তাঁকে আবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হবে।
২৭ জুন দুপুরে ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অধ্যক্ষ আল আমিনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১১। জিজ্ঞাসাবাদে অধ্যক্ষ আল আমিন ১২ শিশুছাত্রীকে ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা এবং যৌন হয়রানির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তাঁর মুঠোফোন ও কম্পিউটার থেকে পর্নোগ্রাফির অশ্লীল ভিডিও জব্দ করা হয়েছে। গত শুক্রবার সকালে মাদ্রাসার এক ছাত্রীর মা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বাদী হয়ে একটি এবং পর্নোগ্রাফি ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে র্যাবের ডিএডি কামাল হোসেন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন...