নাটোরে উত্তরা গণভবন ও রাজবাড়ী বন্ধ
সরকারি সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরপরই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করার জন্য নাটোরের উত্তরা গণভবন ও নাটোরের রানি ভবানীর রাজবাড়ীতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়ে শহরের দুটি পর্যটনকেন্দ্র।
আজ সকাল থেকে অন্য দিনের মতো প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পরিচালিত রানি ভবানীর নাটোরের রাজবাড়ী ও জেলা প্রশাসন-নিয়ন্ত্রিত উত্তরা গণভবন দর্শনার্থীদের পদচারণে মুখর ছিল। বেলা গড়িয়ে দুপুরের ঠিক আগমুহূর্তে সরকার প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের দর্শনীয় স্থানসহ জনসমাগমের স্থান বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। এর পরপরই জেলা প্রশাসক উত্তরা গণভবন ও রাজবাড়ী বন্ধ করার নির্দেশ দেন। সংশ্লিষ্ট দুটি স্থাপনার কর্মীরা দর্শনার্থীদের বের করে দেন। দুপুরের পর দুটি স্থাপনার প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটি আকস্মিকভাবে নেওয়ায় অনেক দর্শনার্থী স্থাপনা দুটিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়েন।
বেলা আড়াইটার দিকে উত্তরা গণভবনের প্রধান ফটকে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটকে তালা লাগানো। নিরাপত্তাকর্মীরা ফটক ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এ সময় যশোর থেকে আসা একদল তরুণ জানান, সরকারি সিদ্ধান্ত হঠাৎ দেওয়ায় তাঁরা বন্ধের বিষয়টি জানতেন না। এত দূর থেকে এসে গণভবন দেখতে না পেয়ে তাঁরা হতাশ। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে সরকারের এই সিদ্ধান্ত তাঁরা মেনে নিয়েছেন।
বেলা সোয়া তিনটার দিকে নাটোর রাজবাড়ী চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান ফটক বন্ধ। পাহারায় থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা পাশের ব্যারাকে বিশ্রাম নিচ্ছেন। টিকিট কাউন্টার বন্ধ রাখা হয়েছে। দু-একজন দর্শনার্থী তখনো ফটকে এসে ভেতরে ঢোকার অনুমতি চাচ্ছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁদের সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানিয়ে বিদায় দেন।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ জানান, জনস্বার্থে সরকার এসব স্থাপনা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে আগে থেকে সিদ্ধান্ত জানানো সম্ভব হয়নি। তবে নির্দেশনা পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তরা গণভবন ও রাজবাড়ি বন্ধ রাখার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও স্থাপনা দুটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে