নবম ওয়েজ বোর্ডের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নোয়াবের আবেদন, শুনানি ২০ অক্টোবর
সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার কর্মীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে গঠিত নবম ওয়েজ বোর্ডের সুপারিশ বাস্তবায়নের গেজেট প্রকাশকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)।
নোয়াবের করা আবেদনটি আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী এই দিন ধার্য করেন।
নবম ওয়েজ বোর্ডের নতুন বেতনকাঠামোর সুপারিশ চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নোয়াবের করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ আগস্ট হাইকোর্ট রুল দিয়ে ওই সুপারিশ বাস্তবায়নের গেজেট প্রকাশের ওপর দুই মাসের স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।
ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে সরকারপক্ষ আবেদন করে, যার ওপর শুনানি নিয়ে গত ২০ আগস্ট আপিল বিভাগে হাইকোর্টের আদেশ ৮ সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়।
আপিল বিভাগের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে নোয়াব আবেদন করে, যা আজ চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে নোয়াবের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী।
মো. ইউসুফ আলী প্রথম আলোকে বলেন, এর আগে আপিল বিভাগে শুনানিতে সরকারপক্ষ বলেছিল শ্রমিবিধির ১২৮ বিধি নিম্নতম মুজরির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, সংবাদপত্রের মজুরি বোর্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। অথচ শ্রম আইনের ৩৪৪ (১) ধারায় আছে যে এই আইনের অধীনে গঠিত যেকোনো বোর্ডেরই (তা যে নামেই অভিহিত হোক না কেন) কার্যধারা শ্রমবিধি দিয়ে নির্ধারিত হবে। এ ছাড়া আইনের ৩৫১ (২) (ঘ) ধারা অনুযায়ী সরকার শ্রমবিধির ১২৮ বিধি প্রণয়ন করে বোর্ডের কার্যধারা নির্ধারণ করে দিয়েছে। সুতরাং ১২৮ বিধি এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, মর্মে সরকারপক্ষের যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়—এসব যুক্তিতে আপিল বিভাগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়ে ওই আবেদনটি করা হয়। চেম্বার বিচারপতি আবেদনটি আগামী ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান নোয়াবের এই আইনজীবী।