নতুন জীবনের পথে নিমতলী সংসার শুরু রত্না-আসমার

স্মরণকালের ভয়াবহ আগুনে পুড়ে থমকে যাওয়া নিমতলীর মানুষের জীবনে লাগতে শুরু করেছে কর্মব্যস্ততার সুবাতাস। কান্না, ধ্বংস আর লাশের গল্প ছেড়ে তারা এখন চিন্তায় মেতেছে নতুনভাবে জীবন শুরু করার। শোককে শক্তিতে পরিণত করে ইতিমধ্যে আগুনে সব হারানো সদ্য বিবাহিত রত্না ও আসমা শুরু করেছেন নতুন সংসার। তবে এরই মধ্যে ঝরে গেছে আগুনে দগ্ধ ছোট্ট শিশু ইজ্জা (১২)। এ নিয়ে আগুনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১২০ জনে। ভবিষ্যতে এ ধরনের হূদয়বিদারক ঘটনা রোধে মাঠে নেমেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পুরান ঢাকায় গতকাল বৃহস্পতিবার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে একটি রাসায়নিক গুদাম। নিমতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেল, যেসব বাড়ি একেবারেই পুড়ে গেছে সেগুলো পড়ে রয়েছে সেভাবেই। আংশিক পোড়া বাড়িঘর বাসোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় মেরামতের কাজ চলছে। বিশেষ করে আগুনের প্রচণ্ড তাপে গলে, বেঁকে গিয়েছিল বেশির ভাগ বাড়ির বর্জ্য নির্গমনের প্লাস্টিকের পাইপ ও বিদ্যুতের তারের উপরিভাগ। এই পাইপ ও বিদ্যুতের তার পরিবর্তন করতে দেখা গেল অনেককে। ঘরের ভেতরের আসবাব, বিশেষ করে বেঁকে যাওয়া পাখা মেরামত করতে লেগেছেন কেউ কেউ।নতুন সংসারে আসমা ও রত্না: স্বামীর বাড়িতে নতুন সংসার শুরু করেছেন রত্না ও আসমা। আর রুনা রয়েছেন তাঁর বিয়ের উকিল বাবা আওয়ামী লীগের নেতা হাজি সেলিমের বাড়িতে। ৪০ দিনের শোক পালন শেষে তাঁকে উঠিয়ে নেবেন স্বামী জামিল। রুনা ও রত্নার চাচাতো ভাই আলমগীর প্রথম আলোকে জানান, রুনা এখন হাজি সেলিমের বাড়িতে রয়েছেন। তবে রত্না তাঁর স্বামী সুমনের বাড়িতেই আছেন। নববধূর আগমন উপলক্ষে সুমনের বাড়িতেও কোনো আনন্দের আয়োজন ছিল না। ৪০ দিন শোক পালন শেষেই তাঁরা আনুষ্ঠানিকতা পালন করবেন।ইজ্জাও চলে গেল: আশা জাগিয়েও অবশেষে চলে গেল ছোট্ট ইজ্জা। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিত্সাধীন ইজ্জার (১২) অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার হঠাৎ করেই তার অবস্থার অবনতি ঘটে এবং বিকেলে মারা যায়। কর্তব্যরত চিকিত্সক প্রথম আলোকে জানান, ইজ্জার শরীর কম পুড়লেও গরম ধোঁয়ায় তার শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। এতেই তার মৃত্যু হয়।সংশোধনী: গতকালের প্রথম আলোর শেষ পৃষ্ঠায় ‘নিমতলীতে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ বাড়ছে’ শিরোনামের প্রতিবেদনে ভুলবশত সেলিম নেওয়াজ ভুঁইয়াকে ফায়ার সার্ভিসের ‘সাবেক মহাপরিচালক’ উল্লেখ করা হয়েছে। আসলে হবে ‘সাবেক উপপরিচালক।