ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় রাবি ছাত্র রিমান্ডে
ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাহফুজুর রহমানকে (২১) দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ তাঁর রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মাহফুজুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। গত ২৭ জানুয়ারি দুপুরে মতিহার থানায় হওয়া মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই রাতেই মাহফুজুর ও তাঁর দুই বন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। গতকাল রোববার আদালতে তাঁদের তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল।
অভিযোগকারীও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।
মামলায় মাহফুজুর রহমান, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র প্লাবন তালুকদার (২১) ও রাফসান (২১), স্থানীয় তরুণ জীবন (২৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করা হয়। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে মতিহার থানা-পুলিশ মাহফুজুর, প্লাবন ও রাফসানকে এবং ৭ ফেব্রুয়ারি জীবন ও জয় নামের স্থানীয় দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, পাঁচ মাস আগে ওই ছাত্রীর সঙ্গে মাহফুজুর রহমানের বন্ধুত্ব হয়। গত ২৪ জানুয়ারি রাত আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুলের পাশে বসে ওই ছাত্রী ও মাহফুজুর গল্প করছিলেন। এ সময় প্লাবন ফোনে মাহফুজুরকে তাঁদের ভাড়া বাসায় আড্ডা দিতে যেতে বলেন। রাত সাড়ে আটটার দিকে মাহফুজুর ওই ছাত্রীকে নিয়ে প্লাবনের ভাড়া বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর প্লাবন তাঁদের দুজনকে গল্প করতে বলে বাইরে চলে যান। তখন মাহফুজুর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় জীবন ও অজ্ঞাতনামা দুজন এসে ‘তোরা অসামাজিক কাজ করেছিস’ বলে সাদা কাগজে তাঁদের দুজনের সই নেন এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। তাঁদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে প্রায় চার হাজার টাকা আদায় করেন। এরপর তাঁরা তাঁদের দুজনকে শারীরিক সম্পর্ক করতে বাধ্য করেন এবং সেগুলোর ছবি তোলেন ও ভিডিও করেন।
পরে ওই ছাত্রী মতিহার থানায় মামলা করেন।
জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘রিমান্ড মঞ্জুরের পর মাহফুজুর রহমানকে বিকেলে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। গ্রেপ্তার বাকি চারজন কারাগারে আছেন।’