২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

দৌলতদিয়ার যৌনপল্লিতে ২০ দিনের জন্য যাতায়াত নিষিদ্ধ

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ার যৌনপল্লিতে ২০ দিনের জন্য যাতায়াত নিষিদ্ধ করেছে পুলিশ। প্রতিদিন পল্লিতে বিভিন্ন এলাকার অনেক মানুষ যাতায়াত করে। কে কোত্থেকে আসছে, কোথায় থাকছে, তা তদারকির ব্যবস্থা না থাকায় পল্লি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে বলে মনে করছেন সেখানকার বাসিন্দা ও চিকিৎসকেরা। এ নিয়ে আজ শুক্রবার প্রথম আলোয় ‘করোনা-সংক্রমণের ঝুঁকিতে দৌলতদিয়ার যৌনপল্লি’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

কয়েকজন যৌনকর্মীর ভাষ্য, বর্তমানে করোনাভাইরাসের মতো মরণব্যাধি ছড়িয়ে পড়ায় লোকজনের সমাগম অনেকটা কম। এই রোগ যদি ছড়ায়, তাহলে বাঁচার উপায় নেই। এখন পুলিশ খদ্দেরদের আসা–যাওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে। তাই তাঁরা কীভাবে খেয়ে–পরে বাঁচবেন, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যৌনকর্মীদের সংগঠন নারী ঐক্য সংস্থার সভাপতি ঝুমুর বেগম বলেন, পল্লিতে প্রায় ১ হাজার ৬০০ নিয়মিত যৌনকর্মী, বয়স্ক মাসিসহ প্রায় ২ হাজার বাসিন্দা রয়েছেন। যৌনপল্লিতে প্রবেশের প্রধান ফটক খোলা রেখে বাকি পাঁচটি ফটক পুলিশের সহযোগিতায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যৌনপল্লির সব বাড়িওয়ালিকে আজ শুক্রবার থেকে আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ভাড়া না নিতে বলা হয়েছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে যৌনপল্লিতে মাইকিং করে সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাঁদের জন্য কিছু অনুদানের ব্যবস্থা না করলে সবাইকে বিপদে পড়তে হবে।

দৌলতদিয়া ইউনিয়নের স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুল জলিল ফকীর বলেন, ‘আমরা দুশ্চিন্তায় ছিলাম কখন কার মাধ্যমে পল্লিতে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রশাসন থেকে মাইকিং করা হয়। অবশেষে আজ দুপুর থেকে খদ্দেরদের আসা–যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে সংক্রমণের হাত থেকে কিছুটা রক্ষা পেলেও তাদের জীবন কীভাবে চলবে, তা নিয়ে সবাইকে ভাবতে হবে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশিকুর রহমান বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আগামী ২০ দিনের জন্য খদ্দের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আমরা দেড় হাজার বাসিন্দার জন্য ২০ কেজি করে চাল বরাদ্দের আবেদন করেছি। আশা করি আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে পেয়ে যাব।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবায়েত হায়াত শিপলু বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। সরকারি নীতিমালার মধ্যে থেকে পল্লির বাসিন্দাদের জন্য আপৎকালীন কিছু করা যায় কি না, সেটা সিদ্ধান্তের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।