দেশে গণতন্ত্র নির্বাসনে, চলছে অন্যায়ের রাজত্ব

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে অতিথিবৃন্দ। প্রেসক্লাব, ২৫ ডিসেম্বর
ছবি: সাজিদ হোসেন

দেশে চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র ও সত্য নির্বাসনে গেছে। কায়েম হয়েছে অন্যায়ের রাজত্ব। ফ্যাসিবাদই হলো দেশের মূল সংকট। এ থেকে উত্তরণের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত ‘গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের সংকট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত কয়েকজন সাংবাদিক, শিক্ষক ও লেখক। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বিএফইউজের ৪৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম হয়েছে। তাঁর কথা ছাড়া পাতাও নড়ে না।

আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী আরও বলেন, দেশে যে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম হয়েছে, তাতে কি বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নেই? নিশ্চয়ই আছে। বুদ্ধিজীবী, পেশাজীবী, সাংবাদিক, শিক্ষক, আইনজীবী ও চিকিৎসক—সবার ভূমিকা আছে। বুদ্ধিজীবীরা ফ্যাসিবাদী সরকারের তল্পিবাহক।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে লেখক ফরহাদ মজহার বলেন, একটি দেশে গণমাধ্যম যদি না থাকে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, যেটিকে দার্শনিকেরা বলেন চিন্তা ও বিবেকের নিশ্চয়তা, তা যদি না থাকে, সেটিকে গণতন্ত্র বলা হয় না। চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা বাংলাদশে নেই।

বিএফইউজের সভাপতি এম আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ, নিউ নেশন–এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ, এম এ আজিজ, নুরুল আমিন, ইলিয়াস খান, কাদের গণি চৌধুরী, শহীদুল ইসলাম, আইনজীবী নাসরিন সুলতানা প্রমুখ।