দুর্নীতির মামলায় প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর সর্বোচ্চ শাস্তি চায় দুদক
দুর্নীতির মামলায় টেকনাফের বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। এ সময় প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুর্নীতির মাধ্যমে আসামিদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুদকের পক্ষ থেকে তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি চাওয়া হয়েছে। আদালত ২৭ জুন আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ নির্ধারণ করেন।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এই মামলায় বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত প্রদীপ কারাগারে থাকলেও তাঁর স্ত্রী চুমকি কারন পলাতক ছিলেন। তিনি গত ২৩ মে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত বছরের ২৬ জুলাই প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এতে বলা হয়, চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি সোনা, একটি কার, একটি মাইক্রোবাস, ব্যাংক হিসাব ও কক্সবাজারে একটি ফ্ল্যাট রয়েছে চুমকির নামে। তাঁর ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের সত্যতা পেয়েছে দুদক। অভিযোগপত্রে বলা হয়, চুমকি নিজেকে মৎস্য ব্যবসায়ী বলে দাবি করলেও, তাঁর এমন কোনো ব্যবসার অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় মামলা করেন তাঁর বোন। ওই বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। একই বছরের ২৩ আগস্ট প্রদীপ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক।