দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগের প্রশ্ন কেন আসছে: সচিব
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের পদত্যাগের প্রশ্ন কেন আসছে, সেটা বুঝতে পারছেন না দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত। আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস দুদক চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি করার পর আজ গণমাধ্যমকর্মীরা দুদকে যান এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে। দুদক সচিব বলেন, ‘আমরা কালকের সংবাদে দেখেছি যে কমিশন শপথ ভঙ্গ করেছে, এমন বক্তব্য এসেছে। আমাদের কোনো কমিশনার বা চেয়ারম্যান শপথ গ্রহণ করে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নাই। মামলার তদন্ত বা অভিযোগ অনুসন্ধান আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা তদন্ত করছেন। এর দায়দায়িত্ব কমিশন বা চেয়ারম্যানের ওপর বর্তায় না। সুতরাং এ ক্ষেত্রে পদত্যাগের প্রশ্ন কেন আসছে বুঝতে পারছি না।’
সাংসদ শেখ ফজলে নূর তাপস গতকাল বলেন, যদি দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন তাহলে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে যাওয়া উচিত। বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর এখন পর্যন্ত ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওই মন্তব্য করেন সরকারদলীয় এই সাংসদ।
বেসিক ব্যাংকে জালিয়াতির ঘটনায় বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে কেন আসামি করা হচ্ছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা কোথায় ব্যবহার হয়েছে, কিংবা জমা হয়েছে, নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তিনি আরও বলেন, অর্থের উৎস, অর্থ কোন জায়গায় ব্যবহার হয়েছে, কোথায় সম্পদ হিসেবে কনভার্ট হয়েছে, সেগুলো নিষ্পত্তি শেষে বা যাকে আইনের আওতায় আনার তথ্য–উপাত্ত পাওয়া যাবে, তাঁকে চার্জশিটভুক্ত করা হবে।
মামলার তদন্তে দেরি প্রসঙ্গে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ টাকাটা যখন চেকে নিয়েছে তা তোলার পরে টাকা যদি ব্যাংকে রাখা হতো, তাহলে উৎস পাওয়া যেত। টাকা নিয়ে একেকজন একেক কাজে ব্যবহার করেছে। সেখানে মানিলন্ডারিং হয়েছে। কাজেই অর্থের উৎস খুঁজতে গিয়ে অনেক সময় বিলম্ব হয়ে থাকে।
সচিব আরও বলেন, ‘আপনারা যে মামলার কথা বলছেন সেগুলো জটিল প্রকৃতির মামলা। সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মধ্যে বেশির ভাগ টাকাই নগদে উত্তোলন হয়েছে, এ টাকাগুলো কোথায় ব্যবহার কিংবা জমা হয়েছে, আমাদের কর্মকর্তারা বের করতে পারেননি। তদন্ত কর্মকর্তারা টাকার লিংক খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত টাকা কোথায় গিয়েছে, কোন কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়েছে, তার লিংক বের করা সম্ভব হবে না, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।’