দুগ্ধশিল্পের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে খামারিদের প্রশিক্ষণ ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া উচিত। এই খাতের বিকাশে সরকারের উচিত ভর্তুকি দেওয়া। দুধের পুষ্টি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করা হলে এই শিল্পের আরও বিকাশ হবে। উন্নত জাতের গাভি পালনের মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়াতে খামারিদেরও মনোযোগী হতে হবে। উৎপাদনের পাশাপাশি দুধের প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং বিপণনে সরকারের আরও উদ্যোগ দরকার।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘দেশীয় দুগ্ধশিল্পের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্টজনদের আলোচনায় এসব বিষয় উঠে আসে। প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের সহযোগিতায় এই বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। বৈঠক সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম।
বৈঠকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, দেশে দুগ্ধশিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় লিটারপ্রতি দুধের উৎপাদন ব্যয়। আরেকটি সমস্যা হচ্ছে গুণগত মান। প্রাতিষ্ঠানিক বাজারের বিকাশ ঘটলে খামারিরা মানসম্পন্ন দুধ উৎপাদনের ব্যাপারে সচেতন হবে।
গত কয়েক বছরে দেশে পোলট্রিশিল্পের উন্নতি হলেও ডেইরিশিল্প সেভাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নাথুরাম সরকার।
ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, দেশে মানুষের মাথাপিছু দুধ গ্রহণের পরিমাণ কম। দুধের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ালে দুধের চাহিদাও বাড়বে। খামারি পর্যায়ে উৎপাদন বাড়লে দুধ আমদানিও নিয়ন্ত্রিত হবে।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, দুগ্ধশিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের জন্য সমন্বিত উদ্যোগের বিকল্প নেই। এর জন্য বিপণনের দিকে নজর দিতে হবে।