দিনে ২০ হাজার লোকের করোনা পরীক্ষার সুপারিশ
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে প্রতিদিন ২০ হাজার লোকের করোনা পরীক্ষা করতে উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেছে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস শনাক্তে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি পরীক্ষা চালু করা এবং কোভিড, নন–কোভিড হাসপাতাল আলাদা করার পরামর্শ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা।
গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনলাইন সভায় এই পরামর্শ দেওয়া হয়। সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান বলেছেন, এখন প্রায় তিন লাখ কিট মজুত রয়েছে। আরও কিট আমদানির কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন ১০ হাজার করে পরীক্ষা করতে থাকলে মজুত করা কিট দিয়েই আরও অন্তত এক মাস চালানো যাবে।
সভায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের পক্ষে থেকে বলা হয়, যুক্তরাজ্য, চীনসহ অনেক দেশই ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। বিশ্বের যেসব দেশের মাথাপিছু আয় ৪ হাজার ডলারের নীচে সেসব দেশ এই ভ্যাকসিন বিনামূল্যে পাবে। যেহেতু বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় দুই হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি, সুতরাং বাংলাদেশ এই ভ্যাকসিন বিনা মূল্যেই পাবে। ভ্যাকসিন দেশে এলে দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ মানুষকে ক্রমান্বয়ে বিতরণের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
সভায় পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধি, বিমানবন্দরে কাস্টমসে জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী প্রবেশে শুল্ক ব্যবস্থা শিথিল করা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে একজন জরুরি ফোকাল পয়েন্ট রাখা এবং সিএমএইচডিতে জরুরি কাজ সহজে করায় উপায় বের করার পরামর্শ দেন।
বর্তমানে করোনা পরীক্ষা কম হওয়ার কথা উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, করোনা মোকাবিলা করতে পরীক্ষার সংখ্যা আরও বাড়াতে হবে।
সভায় বিএসএমএমইউয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্ত, বিএমএর সভাপতি মোস্তফা জালাল মহীউদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ইকবাল আর্সেলান, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) শেখ মুজিবর রহমান, পরামশর্ক কমিটির সদস্যসচিব মীরজাদী সেব্রিনাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।