দানা বাঁধছে ঘূর্ণিঝড়, আঘাত হানতে পারে মিয়ানমারে
হালকা বাতাস, মাঝেমধ্যে কালবৈশাখী ও সামান্য বৃষ্টি—মার্চের মাঝামাঝিতে আবহাওয়ার রূপ সাধারণত এমনই থাকে। তবে এবার আবহাওয়া শুকনো, খটখটে। সঙ্গে তীব্র গরম।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, তীব্র গরমে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে আকাশে মেঘ যতটুকু ছিল, তা–ও উড়ে গিয়ে লঘুচাপের আশপাশে জড়ো হয়েছে। এতে রোদ সকাল থেকেই সরাসরি ভূখণ্ডে নেমে এসে গরম তৈরি করছে। আজ রোববারের মধ্যে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। নিম্নচাপ যদি আরও শক্তি অর্জন করে, তাহলে আগামীকাল সোম অথবা পরদিন মঙ্গলবারের মধ্যে সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ প্রথম আলোকে বলেন, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দিয়েছে যে লঘুচাপটি নিম্নচাপ থেকে সোমবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। যদি সেটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তাহলে তা মিয়ানমার উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা বেশি। তবে এর প্রভাবে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম উপকূলে ব্যাপক বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস বয়ে যেতে পারে। এ বৃষ্টি বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দেশে গতকাল শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে—৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন শ্রীমঙ্গলে, ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। সর্বনিম্ন ছিল ২২ দশমিক ৩।