দল নিবন্ধনের ৩ শর্ত বাতিল দাবি
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইনের প্রধান তিনটি শর্ত বাতিল চেয়েছে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন সংশোধন দাবি পরিষদ। মূলত নিবন্ধনের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়া ছোট রাজনৈতিক দলগুলো এই পরিষদের ব্যানারে এক হয়ে এই দাবি করেছে।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সদস্যসচিব হারুন অর রশীদ তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ২০০৮ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন শর্তে বলা হয়েছিল-নিবন্ধনে আগ্রহী দলকে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দরখাস্ত জমা দেওয়ার তারিখ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনের যে কোনো একটিতে কমপক্ষে একটি আসন লাভ করতে হবে। অথবা অংশ নেওয়া আসনে কমপক্ষে পাঁচ শতাংশ ভোট পেতে হবে। তিন নম্বর শর্তে বলা আছে, দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সক্রিয় কেন্দ্রীয় দপ্তর এবং কমপক্ষে ১০ জেলা ও ৫০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দপ্তর থাকতে হবে।
কিন্তু ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা গ্রহণের পর এই আইন সংশোধন করে ১০ জেলার পরিবর্তে ২২ জেলা এবং ৫০ উপজেলার পরিবর্তে ১০০ উপজেলায় কমিটিসহ সক্রিয় দপ্তর রাখার শর্ত যুক্ত করা হয়।
ছোট দলগুলোর মতে, এই আইনের মাধ্যমে দেশের রাজনীতিকে জনগণের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় দল গঠন ও দপ্তর পরিচালনা করতে গেলে দলের নেতাদের অঢেল সম্পদের মালিক হতে হবে। রাজনীতির শুরুতে এই পরিমাণ বিপুল অর্থ ব্যয়ের বাধ্যবাধকতা রাজনীতিতে লুটেরা শ্রেণির সৃষ্টি করবে।
রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আইন সংশোধন দাবি পরিষদ নিবন্ধনের প্রধান তিনটি শর্ত বাতিলের পাশাপাশি নিবন্ধন ব্যবস্থা শুধু নির্বাচনের আগে আগে না রেখে সারা বছর চালু রাখার দাবি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টি, বাংলাদেশ তৃণমূল পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ (ভাসানী), বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ বেকার সমাজ, নিউ গ্রিন পার্টি, বাংলাদেশ জনকল্যাণ পার্টিসহ আরও বেশ কয়েকটি দলের নেতারা অংশ নেন।
এতে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে নিবন্ধনের পক্ষে নন। তা সত্ত্বেও যোগ্যতা থাকার কারণে তাঁর দল নাগরিক ঐক্য নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাদের নিবন্ধন করেনি। মান্না বলেন, ইসি নাগরিক ঐক্যের আবেদন গ্রহণ করার সময় প্রমাণ স্বরূপ কোনো কাগজও দেয়নি। যে কারণে এখন মামলার করার মতো জুতসই কাগজপত্র তাঁর কাছে নেই।