ভার্চ্যুয়াল সভা
তাৎক্ষণিক ব্যবস্থায় বন্ধ হবে হয়রানি
কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রায় অনুসরণের তাগিদ।
হয়রানির ঘটনা ঘটলে হেল্পলাইন সেবা নেওয়ার আহ্বান।
পোশাক কারখানায় নারী কর্মীর প্রতি সহিংসতা ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন বক্তারা। গতকাল বুধবার এসএনভি-প্রথম আলো ভার্চ্যুয়াল সভায় বক্তারা বলেন, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে পোশাক কারখানাকে নারীর জন্য নিরাপদ করে গড়ে তোলা সম্ভব। বক্তারা কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি বন্ধে হাইকোর্টের রায় অনুসরণের ওপরও জোর দেন।
নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহযোগিতায় পরিচালিত এসএনভি বাংলাদেশের ওয়ার্কিং উইথ ওমেন প্রকল্প-২ এবং প্রথম আলোর উদ্যোগে ‘পোশাক খাতে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা’ শিরোনামের ৬ পর্বের সভার চতুর্থ পর্ব অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। বক্তারা কথা বলেন ‘পোশাক খাতে নারীর প্রতি সহিংসতা নিরসনে করণীয়’ নিয়ে।
পোশাক কারখানায় নারী কর্মীর জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরিতে নজর বাড়ানোর আহ্বান।
মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্টরাল কর্মসূচির প্রকল্প পরিচালক আবুল হোসেন বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনে তাৎক্ষণিক সহায়তা দেওয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ের হেল্পলাইন নম্বর ১০৯ রয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোর প্রধান ফটক থেকে শুরু করে জায়গায় জায়গায় নম্বরটির বিষয়ে তথ্য দিয়ে রাখলে নারী কর্মীরা কোনো ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) বাংলাদেশের কর্মসূচি কর্মকর্তা (জেন্ডার মেইনস্ট্রিমিং) শামিন সুলতানা বলেন, শ্রম আইন ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে পোশাক কারখানায় নারীর জন্য সহনীয়, নিরাপদ ও সুবিধাজনক কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। পোশাক কারখানায় নারী কর্মীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ হলেও তা আগের তুলনায় কম।
নামকরা ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করে, এমন কারখানাগুলোতে হয়রানির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানালেন বিজিএমইএর পরিচালক ও অনন্ত অ্যাপারেল লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফ জহির। তিনি বলেন, সেসব কারখানায় কর্মক্ষেত্রের অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য ব্র্যান্ড কর্তৃপক্ষ, মালিক, কর্মীর শক্তিশালী অংশগ্রহণ রয়েছে। হয়রানির যেকোনো ঘটনা ঘটলেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
ছোট-বড় প্রতিটি কারখানায় হয়রানিবিরোধী কমিটি করার দাবি জানান শ্রমিকনেত্রী ও আওয়াজ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা নাজমা আক্তার। তিনি বলেন, মালিককে শুধু মুনাফায় নজর দিলে হবে না, নারী কর্মীর মাতৃত্বকালীন ছুটি, প্রজনন স্বাস্থ্য, সন্তানের জন্য দিবাযত্ন কেন্দ্র ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক ফিরোজ চৌধুরী।