ঢাকায় হলো 'রূপচাঁদা সুপার শেফ'-এর বাছাইপর্ব
‘রূপচাঁদা সুপার শেফ প্রতিযোগিতা ২০১৯’-এর প্রাথমিক বাছাইপর্ব শেষ হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার বাছাইপর্বের মাধ্যমে শেষ হলো রান্নার এই প্রতিযোগিতার শেষ পর্ব। ঢাকায় অ্যাপ্রোন পেয়েছেন ১০ জন প্রতিযোগী।
রাজধানীর গুলশানে বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনে আজ সকাল নয়টায় শুরু হয় ‘রূপচাঁদা সুপার শেফ’-এর রান্নার প্রতিযোগিতা। ঢাকা পর্বে রান্নায় অংশ নেন ২৯৬ জন প্রতিযোগী। তাঁদের মধ্য থেকে কুকিং কার্ড পেয়েছেন ৭৪ জন এবং অ্যাপ্রোন পেয়েছেন ১০ প্রতিযোগী। অ্যাপ্রোন বিজয়ীরা হলেন মো. আরিফুর রহমান, মো. কোহেল তাপাদার, কানিজ ফাতেমা সোহাগী, সাথী, শবনম মোস্তারী, ফাহমিদা জামান, মো. মুশফিকুর রহমান, ইব্রাহিম হাক্কানী, আশিকুর রহমান ও সৈয়দ মো. মেহেদী হাসান।
বাংলাদেশের ঘরে ঘরে থাকা রন্ধনশিল্পীদের সম্মানিত করতে বাংলাদেশ এডিবল অয়েল এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। ষষ্ঠবারে মতো দেশের ছয় স্থানে এ প্রতিযোগিতা হচ্ছে। এই আয়োজনের ডিজিটাল পার্টনার হিসেবে আছে প্রথম আলো ডিজিটাল। আর অনুষ্ঠানটি দেখা যাবে চ্যানেল আইয়ে।
বাংলাদেশ এডিবল অয়েলের সহকারী ব্র্যান্ড নির্বাহী আনিকা রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় এবার অনেক প্রতিযোগী ছিলেন। রাজধানীর পাঁচ তারকা, তিন তারকা হোটেলের অনেক শেফ এখানে অংশ নেন। তাঁদের অনেকে নির্বাচিতও হয়েছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, প্রতিযোগিতায় নানান ধরনের রেসিপি উঠে আসছে।
ঢাকায় রান্না পর্বের বিচারক ছিলেন উম্মাহ মোস্তফা, জাহিদা বেগম, জেবুন্নেসা খান, আফরোজা নাজনীন সুমি, নাদিম সরকার ও উম্মে কুলসুম।
স্বাদের লড়াইয়ে রান্নার মাধুর্যে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অংশ নিয়ে জিতে নেবেন ‘রূপচাঁদা সুপার শেফ ২০১৯’ খেতাব। পুরস্কার হিসেবে পাবেন পাঁচ লাখ টাকা।
এর আগে খুলনা, বরিশাল, বগুড়া, সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রাথমিক বাছাইপর্ব হয়। প্রতিটি পর্বে দুজন করে মোট ১০ প্রতিযোগী অ্যাপ্রোন পান। আজ ঢাকায় অ্যাপ্রোন পাওয়া ১০ প্রতিযোগী এবং ঢাকার বাইরের পাঁচটি পর্ব থেকে অ্যাপ্রোন পাওয়া ১০ জন, অর্থাৎ মোট ২০ জন চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবেন।