ঢাকার দুই সিটিতে নিয়ম লঙ্ঘন করেও পদে বহাল ৩৩ কাউন্সিলর
সিটি করপোরেশনের আইন অনুযায়ী যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া কোনো কাউন্সিলর পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা যায়। কিন্তু নিয়ম লঙ্ঘন করার পরও পদে বহাল রয়েছেন ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ৩৩ জন কাউন্সিলর। তাঁদের অপসারণ তো দূরের কথা, সতর্কও করা হয়নি। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৯ জন এবং উত্তর সিটির ১৪ জন কাউন্সিলর রয়েছেন।
অবশ্য ক্যাসিনো-কেলেঙ্কারিতে নাম আসায় পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত থাকার কারণ দেখিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মমিনুল হক ওরফে সাঈদকে পদ থেকে অপসারণ করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। ডিএসসিসির চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৭ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগ এই ব্যবস্থা নেয়। তিনি গত ১৮ সেপ্টেম্বর ‘শুদ্ধি’ অভিযান শুরু হওয়ার আগেই দেশের বাইরে যান। গ্রেপ্তার হতে পারেন, এই আশঙ্কায় আর ফেরেননি।
একটি ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হলেও পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকা ১৯ জন কাউন্সিলরের ব্যাপারে ডিএসসিসি নীরব। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন কাউন্সিলর বলেন, একটি সভায় মেয়রের সঙ্গে মমিনুল হকের অনেক হট্টগোল হয়েছিল। মেয়র অনেক খেপে গিয়েছিলেন। মারপিট হওয়ার পরিস্থিতিও সৃষ্টি হয়েছিল। এখন সুযোগ আসায় মেয়র শুধু মমিনুলের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে আইন কার্যকর করেছেন।
ডিএসসিসির যে ১৯ জন কাউন্সিলর পরপর তিনটি বোর্ড সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৬ জন আওয়ামী লীগের এবং ৩ জন বিএনপির নেতা। ২০১৫ সালের এপ্রিলে মেয়র নির্বাচনের পর থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৯টি সভা হয় ডিএসসিসিতে।
সভায় অনুপস্থিত থাকার ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) কাউন্সিলররাও খুব একটা পিছিয়ে নেই। যে ১৪ জন কাউন্সিলর পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১২ জন আওয়ামী লীগের, ১ জন জাতীয় পার্টির এবং ১ জন বিএনপির (সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর)। তাঁদের বিষয়ে জানতে ২১ অক্টোবর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে উত্তরের মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর ২৪ অক্টোবর ওই ১৪ জনকে ডিএনসিসি কারণ দর্শাতে চিঠি পাঠায়।
>পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকা ৩৩ জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সিটি করপোরেশনের সভায় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সমস্যার কথা তুলে ধরার সুযোগ পান কাউন্সিলররা। মশকনিধন কর্মসূচি, পরিচ্ছন্নতা অভিযান, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে নিজেদের দাবি ও অবস্থান তুলে ধরতে পারেন তাঁরা। মাদকের সমস্যা, ওয়ার্ডের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সেবা পাওয়া নিয়ে নাগরিকদের সমস্যার বিষয়ে আলোচনার সুযোগ থাকে। চাইলে মেয়রকে জবাবদিহি করারও সুযোগ রয়েছে কাউন্সিলরদের।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, অনুপস্থিত থাকা সব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। কেবল একজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া বৈষম্যমূলক হলো। প্রতিটি সভায় কাউন্সিলরদের যোগ দেওয়ার বিষয়টি আইনেই আছে। দায়িত্ববোধ থাকলে কেউ কোনো কারণ ছাড়া সভায় অনুপস্থিত থাকতেন না। কাউন্সিলররা তাঁদের মূল কাজ বাদ দিয়ে এলাকায় প্রভাব খাটানোর কাজে বেশি ব্যস্ত। কারণ, প্রভাব খাটাতে পারলে বিভিন্ন প্রকল্পের ভাগের টাকা পৌঁছে যায়।
কাউন্সিলরদের অপসারণ প্রসঙ্গে সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯-এ মোট ছয়টি বিষয়ের কথা বলা আছে। এর প্রথমটিই হচ্ছে যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে সিটি করপোরেশনের পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকা।
এমন কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, জানতে চাইলে ডিএসসিসির মেয়র সাঈদ খোকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পরপর তিনটি সভায় যাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কাছে অনতিবিলম্বে এর কারণ ব্যাখ্যা চাইব। তাঁদের ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেব।’
টানা আটটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরপর তিনটি সভায় না গিয়ে থাকলে তাঁকে চিঠি দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি কোনো চিঠি পাননি। যে কটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তা অনিচ্ছাকৃত ছিল দাবি করে তিনি বলেন, এমন ঘটনাও ঘটেছে যেদিন সভা হবে, ওই দিন সকালে সভায় যোগ দেওয়ার চিঠি হাতে পেয়েছেন। তখন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় করপোরেশনের সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি।
সাতটি সভায় যোগ দেননি ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ হাসান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে হজে যাওয়ায় তিনি কয়েকটি সভায় উপস্থিত থাকতে পারেননি। তবে এ কারণে করপোরেশন থেকে তাঁকে কোনো চিঠি দেওয়া হয়নি।
পরপর ৫টি সভায় অনুপস্থিত থাকা কাউন্সিলরদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর দাবি, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাঁর বিরুদ্ধে ১২২টি মামলা হয়। এ জন্য তখন কয়েকটি সভায় থাকতে পারেননি।
দক্ষিণের কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোস্তবা জামান পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটের বন্ধু হিসেবে পরিচিত। কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে মোস্তবা জামানের কেনা ফ্ল্যাটেই প্রথম ব্যক্তিগত কার্যালয় খোলেন সম্রাট।
নয়াপল্টন এলাকায় জনশক্তি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে নিয়মিত চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে মোস্তবা জামানের বিরুদ্ধে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন ব্যবসায়ী প্রথম আলোকে বলেন, গত সংসদ নির্বাচনের মাস তিনেক পর একটি প্রতিষ্ঠান মাসিক চাঁদা দিতে দেরি হওয়ায় তালা লাগিয়ে দিয়েছিলেন মোস্তবার অনুসারী কয়েকজন যুবক। পরে ৫ লাখ টাকা দিয়ে বিষয়টির সুরাহা হয়।
মোস্তবা জামানের বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ডিএসসিসির ২০ অক্টোবরের সভায়ও তিনি অংশ নেননি। এখন এই কাউন্সিলর কোথায় আছেন, তা অন্যরা বলতে পারেননি।
তবে পল্টন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা রাজনীতিবিদদের পয়সাকড়ি দেন, এটা সত্যি। তবে কারও কাছ থেকে জোর করে নেওয়াটা খারাপ। আমি রাজনীতি করি এক ধারায়, আমার সাধারণ সম্পাদক মোস্তবা আরেক ধারায়।’
১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম আশরাফ তালুকদার আওয়ামী লীগের মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি থাকাকালে ভর্তি-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ আছে। এখন তিনি মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পরিচালনা কমিটির সদস্য। এই প্রতিষ্ঠানেও ভর্তি-বাণিজ্যের অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে গোলাম আশরাফ তালুকদার প্রথম আলোকে বলেন, সামনে কাউন্সিলর নির্বাচন, তাই তাঁর ভাবমূর্তি নষ্ট করতে অনেকে নানা অভিযোগ তুলছে।
তবে ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এনায়েত কবির প্রথম আলোকে বলেন, ভিকারুননিসা ও মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে ভর্তি-বাণিজ্য নিয়ে গণমাধ্যমে গোলাম আশরাফের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখেছেন।
৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশ্রাফুজ্জামান সবুজবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। এই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ আছে। তিনি কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতি থাকার সময়ে নিয়ম ভঙ্গ করে একজনকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। পরে অভিভাবকদের তোপের মুখে ওই অধ্যক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁকেও সভাপতির পদ ছাড়তে হয়।
আশরাফুজ্জামান দাবি করেন, বাড়ি দখলের অভিযোগ ভিত্তিহীন। আর শিক্ষকদের গ্রুপিংয়ের কারণেই অধ্যক্ষকে সরে যেতে হয়েছে।
৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুল বাসিত খান ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে নিজ কার্যালয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এ মামলায় তিনি জামিনে আছেন। এ ছাড়া চাঁদাবাজি ও জমি দখলের সঙ্গেও জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে বাসিত খান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনি তদন্ত করে দেখতে পারেন।’
৭ নম্বর ওয়ার্ড মুগদা থানার মধ্যে পড়েছে। মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাউন্সিলর আবদুল বাসিতের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আমাদের কানেও এসেছে।’
একই অভিযোগ উত্তরে
২০১৮ সালের ১ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১৬ অক্টোবর পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১২টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ১৪ জন কাউন্সিলর পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন।
সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপস্থিত ছিলেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শফিকুল ইসলাম (সেন্টু)। তিনি ১২টি সভার একটিতেও উপস্থিত ছিলেন না। কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে ক্যাসিনো চালুর সঙ্গে তিনি জড়িত বলে অভিযোগ আছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর তিনি সিঙ্গাপুর চলে যান।
টানা ১১টি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (রূপনগর) কাউন্সিলর মো. রজ্জব হোসেন। তিনি রূপনগর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে রূপনগর আবাসিক প্রকল্প এলাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ২২ একরের একটি লেক ভরাট করে দখল করার অভিযোগ রয়েছে। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ঝিলপাড় বস্তিতে বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাসের অবৈধ সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করেন রজ্জবের লোকজন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, একসময়ের পরিবহনশ্রমিক থেকে রজ্জব এখন বিপুল সম্পত্তির মালিক। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ফোন করলে তাঁর জামাতা সোহেল রানা ফোন ধরে বলেন, তাঁর শ্বশুর অসুস্থ। কথা বলতে পারবেন না।
টানা আটটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুর রউফ (নান্নু)। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার হৃদ্রোগ আছে। সে জন্য মাঝেমধ্যে চিকিৎসা নিতে হয়। সে কারণে অনুপস্থিত থাকতে পারি।’
৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাজী জহিরুল ইসলাম ওরফে মানিক দুবার পরপর তিনটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় সড়ক ও ফুটপাত থেকে চাঁদা তোলার এবং বর্জ্য-বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, ‘এলাকায় বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান থাকলে করপোরেশনের সভায় যাওয়া হয় না।’
কাউন্সিলরদের সভায় অনুপস্থিতির বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম ২১ অক্টোবর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, সচিবকে একটি তালিকা তৈরি করতে বলেছেন তিনি। যাঁরা টানা তিনটি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কারণ দর্শাতে বলা হবে।
অবশ্য এরপর গত বৃহস্পতিবার ১৪ কাউন্সিলরকে অনুপস্থিতির কারণ দর্শাতে চিঠি পাঠিয়েছে ডিএনসিসি।
সভায় না গেলেও চলে—সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের মধ্যে এমন মনোভাব রয়েছে বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, দেখা যাচ্ছে, তাঁরা যে কারণে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন, তা না করে ক্ষমতার দাপট দেখাচ্ছেন, নিজেরা ক্ষমতাকে ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছেন। এখানে মেয়রদেরও ব্যর্থতা আছে। তাঁরা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।