ডাকসু নির্বাচনে কোনো অনিয়ম পায়নি তদন্ত কমিটি
দীর্ঘ ২৮ বছর পর গত মার্চে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটি ওই নির্বাচনে কোনো অনিয়মের প্রমাণ পায়নি। দুই মাসব্যাপী তদন্ত শেষে কমিটি তাদের এ কথা জানিয়েছে। ভবিষ্যতে ডাকসুর নির্বাচনকে আরও বেশি ‘গ্রহণযোগ্য’ করতে কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরামর্শও দেওয়া হয়েছে৷
বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ডাকসু নির্বাচনের অনিয়ম তদন্ত কমিটির ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
সভায় অংশ নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সিন্ডিকেট সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, ডাকসু নির্বাচনের দিন কোনো ভোটার (শিক্ষার্থী) ভোট দিতে পারেননি—এমন কোনো লিখিত অভিযোগ তদন্ত কমিটি পায়নি। ভোট দিতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হয়েছেন—এমন অভিযোগও কেউ তাঁদের কাছে করেননি। ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা হট্টগোলের তথ্যও পাওয়া যায়নি। শুধু ভোটারদের সারির ক্ষেত্রে কিছুটা অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ভবিষ্যতে ডাকসু নির্বাচনকে আরও গ্রহণযোগ্য করতে ব্যালট পেপারে নম্বর সংযোজন ও ভোটারদের হাতে অমোচনীয় কালি ব্যবহারের ব্যাপারে সুপারিশ করেছে কমিটি।
১১ মার্চ অনুষ্ঠিত ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করে এতে অংশ নেওয়া পাঁচটি প্যানেল। প্যানেলগুলোর অভিযোগ ও আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ২১ মার্চ সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। প্রথমে কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হলেও পরে ১৫ কার্যদিবস অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ২৩ মে উপাচার্যের কাছে তাঁদের প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক সাজেদা বানুকে আহ্বায়ক ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাকসুদুর রহমানকে সদস্যসচিব করে গঠিত ওই তদন্ত কমিটিতে ছিলেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. ইমদাদুল হক, স্যার পি জে হার্টগ ইটারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ মো. মহিউদ্দিন, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শফিক উজ জামান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শারমিন রুমি আলীম।