ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি
ঝালকাঠিতে যাত্রীবোঝাই লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মিজানুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. তোফায়েল ইসলাম। তিনি নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (বন্দর)।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চে আগুন লাগে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দগ্ধ অবস্থায় অন্তত ৭২ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে বেশ কয়েকজন।
এমভি অভিযান-১০ নামের লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরগুনায় যাচ্ছিল। লঞ্চে হাজারখানেক যাত্রী ছিল বলে জানা গেছে।
উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা জানান, ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে চলন্ত অবস্থায় লঞ্চটিতে আগুন লাগে। পরে লঞ্চটি নদীর তীরবর্তী দিয়াকুল গ্রাম এলাকায় ভেড়ানো হয়।
ফায়ার সার্ভিসের বরিশাল বিভাগের উপপরিচালক কামাল হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, লঞ্চটির ইঞ্জিনকক্ষ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, তারা দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায়। আজ শুক্রবার ভোররাত রাত পৌনে চারটার দিকে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিট অংশ নেয়। এ ছাড়া কোস্টগার্ড, পুলিশ, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও লোকজন এ কাজে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করেন।
আজ ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হয়, উদ্ধারকর্মীরা লঞ্চটি থেকে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের লাশ উদ্ধার করেছেন। ৭২ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন।
আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি এখন সুগন্ধা নদীর দিয়াকুল পাড়ে ভেড়ানো আছে। অগ্নিদুর্ঘটনার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস।