শুরুতেই প্রথম আলো ডটকম নিয়ে কিছু আকর্ষণীয় তথ্য জানাতে চাই। প্রথম আলো ডটকম কেবল বাংলাদেশেরই নয়, বাংলা ভাষায় বিশ্বের পয়লা নম্বর ওয়েবসাইট।
সারা বিশ্বেই গুগলের অবস্থান সবার ওপরে, এমনকি বাংলাদেশেও। একইভাবে সারা বিশ্বে এরপরই আছে ইউটিউব, বাংলাদেশেও তাই। বাংলাদেশের মানুষ ফেসবুক একটু বেশিই ব্যবহার করেন, অবস্থান তৃতীয়। সারা বিশ্বে ফেসবুক অবশ্য এতটা জনপ্রিয় নয়, তারা সপ্তম স্থানে। বাংলাদেশে এর পরের নামটিই হচ্ছে প্রথম আলো ডটকম। আর পঞ্চম স্থানে থাকা নামটির সঙ্গে প্রথম আলো ডটকমের দূরত্ব অনেক।
গুগল, ইউটিউব বা ফেসবুক—কোনোটিই নিউজ মিডিয়া বা গণমাধ্যম কোম্পানি নয়। গণমাধ্যম কোম্পানির মধ্যে বাংলাদেশে প্রথম আলো ডটকম আছে সবার ওপরে। আর দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষ পাঁচ গণমাধ্যম কোম্পানির একটি প্রথম আলো। সবার ওপরে আছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারতেরই চারটি গণমাধ্যম কোম্পানি। যেমন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, মনোরমা অনলাইন, মানিকন্ট্রোল এবং এনডিটিভি। এরপরই প্রথম আলো ডটকম।
অনলাইনে প্রথম আলো ডটকমের যাত্রা শুরু কিন্তু প্রথম আলোর জন্মলগ্ন থেকেই, ৪ নভেম্বর ১৯৯৮। তখন খুব কম মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করতেন, ব্রডব্যান্ডের প্রসার ঘটেনি। মানুষের হাতে থাকত ফিচার ফোন। ছিল কেবল টু-জি নেটওয়ার্ক, যা দিয়ে মূলত মুঠোফোনে কথা বলা যেত। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তখন স্লোগানেও ছিল না। শুরুতে ছাপা পত্রিকার প্রথম ও শেষ পাতার লেখাগুলো অনলাইন সংস্করণে তোলা হতো।
এর মধ্যেই ফিচার ফোনের বদলে মানুষের হাতে চলে এসেছে স্মার্টফোন। প্রসার ঘটেছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবার। মোবাইল কোম্পানিগুলোও ইন্টারনেট ডেটা বিক্রিতেই বেশি আগ্রহী হয়ে ওঠে। প্রথম আলো ডটকমের প্রসার এ সময় থেকেই। তবে কেবল সুলভ ইন্টারনেটই প্রথম আলো ডটকমের শীর্ষ স্থানে ওঠার মূল কারণ নয়। প্রধান কারণ পাঠকের আস্থা। আর এই আস্থা অর্জন করতে হয়েছে সঠিক ও নির্ভরযোগ্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমেই। ব্রেকিং নিউজ, ঘটনার তাৎক্ষণিক বিবরণ, প্রতিমুহূর্তের হালনাগাদ তথ্য ছাড়াও বাংলাভাষী পাঠকেরা প্রথম আলো ডটকমে পাচ্ছেন মতামত, বিশ্লেষণ, ফিচারসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা ধরনের লেখা। প্রায় ২০০ দেশ ও অঞ্চল থেকে বাংলাভাষীরা প্রতিমুহূর্তে ঢুঁ মারছেন প্রথম আলো ডটকমে। পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে থাকা পাঠকদের জন্য প্রথম আলো ডটকম এখন হালনাগাদ তথ্য দেয় ২৪ ঘণ্টাই। প্রথম আলো ডটকম জেগে থাকে দিনের ২৪ ঘণ্টা, সপ্তাহের ৭ দিনই।
সারা বিশ্বেই বাংলাদেশ নিয়ে যাঁদের আগ্রহ আছে, তাঁদের জন্যও আছে প্রথম আলোর ইংরেজি সংস্করণ। পাঠকেরা চাইলে প্রথম আলোতে লিখতে পারেন, এ জন্য আছে নাগরিক সংবাদ। প্রবাসে থাকা বাংলাদেশিদের জন্য লেখার জায়গা দূর পরবাস। সাহিত্যপ্রেমীরা তাদের খোরাক পাবেন অন্য আলো নামের এক মিনি সাইটে। প্রথম আলোর সহযোগী প্রকাশনী বিজ্ঞানচিন্তা ও কিশোর আলো যাঁরা নিয়মিত কিনে পড়েন, তাঁরাও আমাদের অনলাইনে পাবেন বাড়তি আরও কিছু। অর্থাৎ সবার জন্য সবকিছুই আছে প্রথম আলো ডটকমে। এ ছাড়া ছাপা পত্রিকা হুবহু অনলাইনে পড়তে চাইলে আছে প্রথম আলোর ই–পেপার।
ছাপা পত্রিকার আবেদন সহজে ফুরাবে না। তবে প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি মানুষের অভ্যাস, আচরণ, পছন্দ—সব কিছুই বদলে দিচ্ছে। ফলে গুরুত্ব বাড়ছে অনলাইন সংবাদমাধ্যমের। কোভিড-১৯ মহামারি এই বদল আরও দ্রুততর করে দিয়েছে। গত প্রায় দুই বছরের বেশ কিছু সময়ে মানুষকে গৃহবন্দী থাকতে হয়েছে, মানতে হয়েছে সামাজিক দূরত্ব। এ সময়ে সব ধরনের তথ্যের চাহিদা মিটিয়েছে প্রথম আলো ডটকম। এমনিতেই প্রথম আলোর কাছে পাঠকের থাকে গগনচুম্বী প্রত্যাশা। অতিমারির কারণে বদলে যাওয়া বিশ্বে সেই বিপুল চাহিদা মেটাতে অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় প্রথম আলো ডটকম এখন অনেক বেশি তৎপর এবং পরিকল্পিত। পাঠক, একবার শুধু ক্লিক করুন, prothomalo.com-এ।
প্রমাণ আপনার হাতেই।
শওকত হোসেন: হেড অব অনলাইন