বাংলাদেশকে ‘জিএসপি প্লাস’ দেওয়ার বিষয়টি ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগদলীয় সাংসদ এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউর কাছ থেকে জিএসপি প্লাস–সুবিধা পেতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে ইইউ থেকে ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি বাজারসুবিধা পাচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ চূড়ান্তভাবে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটলে বর্তমান জিএসপি আইন অনুযায়ী তিন বছর ‘ট্রানজিশন টাইম’ পাওয়ার কথা রয়েছে। ২০২৯ সালের পর ইইউতে বাংলাদেশের শুল্কমুক্ত বাজারসুবিধা অব্যাহত রাখতে নিবিড় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
টিপু মুনশি জানান, ইইউর চাহিদা অনুযায়ী ‘ন্যাশনাল অ্যাকশন প্ল্যান ফর দ্য লেবার সেক্টর’ প্রণয়ন করে পাঠানো হয়েছে। জিএসপি প্লাসের শর্ত পূরণে ‘মিনিমাম এজ কনভেনশন’ স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইইউর বাংলাদেশের শ্রম অধিকার, কারখানার নিরাপত্তা, শিশুশ্রম ও সুশাসনবিষয়ক বিভিন্ন জিজ্ঞাসা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার এসব জিজ্ঞাসার সন্তোষজনক জবাব দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ইইউ বাংলাদেশকে জিএসপি প্লাস–সুবিধা দেবে কি না, সেটা তাদের রাজনৈতিক বিবেচনার ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া ইইউ নতুন করে জিএসপি রেগুলেশন প্রণয়ন করছে। ওই রেগুলেশনের আওতায় বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস–সুবিধা পায়, তার জন্য সরকার কাজ করছে।
সরকারি দলের সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নে ১৭ হাজার ৪৬৪ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। আর যুক্তরাষ্ট্রে ৬ হাজার ৯৭৪ দশমিক শূন্য ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ চীন থেকে সবচেয়ে বেশি পণ্য আমদানি করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে চীন থেকে ১১ হাজার ৮৩০ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে বাংলাদেশ।
‘১০৯০’ নম্বরে কল করে জানা যাবে আবহাওয়া বার্তা
সরকারি দলের সাংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বলেন, দুর্যোগের আগাম বার্তা মোবাইলে অবহিতকরণ জন্য আইভিআর পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। যেকোনো মোবাইল থেকে টোল ফ্রি ১০৯০ নম্বরে কল করে সমুদ্রগামী জেলেদের জন্য আগাম বার্তা, দৈনন্দিন আবহাওয়ার বার্তা, ঘূর্ণিঝড়ের আগাম বার্তা, নদীবন্দরগুলোর সতর্কবার্তা ও বন্যার পূর্বাভাস সম্পর্কে জানা যাবে।