জাপানি ভাষার কমিকসে বঙ্গবন্ধু
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের ওপর ভিত্তি করে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত কমিকস ‘মুজিব’ বইয়ের জাপানি অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। আজ সোমবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে এক অনুষ্ঠানে বইটি প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের গবেষণা সংগঠন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের উদ্যোগে কমিকস বইটি জাপানি ভাষায় অনুবাদ করেছেন বাংলাদেশি গবেষক ইমরান শরিফ এবং জাপানের সেক্রেট হার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাসাআকি ওহাশি। টোকিওর বাংলাদেশ দূতাবাসে সোমবার আয়োজিত বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকিয়ে আবে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ রেহানা এবং জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে।
অনুষ্ঠানে আকিয়ে আবে আশা প্রকাশ করেছেন যে কমিকস বইয়ের জাপানি অনুবাদ পাঠ করে জাপানের শিশু–কিশোরেরা বাংলাদেশ এবং দেশটির নিবেদিতপ্রাণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে আরও ভালোভাবে জানতে সক্ষম হবে। বাংলাদেশের সঙ্গে জাপানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এশিয়ান উইমেনস ইউনিভার্সিটির পরিচালনা পরিষদের সঙ্গে যুক্ত থেকে বাংলাদেশকে কাছে থেকে দেখার সুযোগ তাঁর হয়েছে এবং দেশটির বন্ধুপ্রতিম লোকজন সম্পর্কে তিনি জানতে পেরেছেন। জাপানি ভাষার কমিকস বই ‘মুজিব’ সেই বাংলাদেশকে জাপানিদের কাছে তুলে ধরতে সক্ষম হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তোশিকো আবে বলেছেন, এ বছর আগস্ট মাসে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশ সফরে এসে মানুষের উদার হৃদয়ের দেখা সেখানে পেয়েছেন। জাপানি ভাষার কমিকস বই সেই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রনায়কের পরিচয় আরও ভালোভাবে তুলে ধরায় জাপানি পাঠকদের কাছে এটা সমাদৃত হবে বলে তিনি মনে করেন।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরও ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র এবং গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক কমিকস বইয়ের প্রকাশনার পটভূমি ব্যাখ্যা করে জাপানি ভাষায় এটা প্রকাশিত হওয়ার পেছনে যাঁরা অবদান রেখেছেন তাঁদের ধন্যবাদ জানান। এরপর অতিথিরা মঞ্চে দাঁড়িয়ে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন এবং সবশেষে দুই অনুবাদককে তাঁদের অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ক্রেস্ট প্রদান করেন আকিয়ে আবে ও শেখ রেহানা।