জলবায়ু–সহিষ্ণু কৃষিতে বাংলাদেশকে ৫ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক অ্যাটাশে মেগান এম ফ্রান্সিস
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের কৃষি খাতে পাঁচ কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র। কৃষি খাতের প্রয়োজনীয় এবং সম্ভাব্য খাতে ওই অর্থ ব্যয় করে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। এর মূল লক্ষ্য থাকবে জলবায়ু–সহিষ্ণু চাষাবাদ, খামার উন্নয়ন এবং কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের কৃষিবিষয়ক অ্যাটাশে মেগান এম ফ্রান্সিস এসব কথা বলেন। রাজধানীর আমেরিকান সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় মেগান এম ফ্রান্সিস বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার কারণে বিশ্বের খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশ মূল্যবৃদ্ধির কারণে সমস্যায় পড়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে মেগান এম ফ্রান্সিস বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি খাতের ঐতিহাসিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, এই সহযোগিতা বাংলাদেশের কৃষির পাশাপাশি সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে।

২০০৮ সালে বিশ্বজুড়ে খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, কৃত্রিমভাবে কোনো দেশ যাতে খাদ্যের দাম বাড়াতে না পারে, এই সংকটের সুযোগ নিয়ে খাদ্যপণ্যের আর্ন্তজাতিক বাজার থেকে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে, সেটি খেয়াল রাখতে হবে। এ জন্য নিয়মিত বাজার পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন দরকার।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের কৃষি সচিব টম ভিলসেক আরব আমিরাতের দুবাইতে বৈঠক করেছেন। সে সময় দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় সামনের দিনগুলোতে কৃষি খাতে এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

মেগান এম ফ্রান্সিস বলেন, বাংলাদেশের কৃষি খামার ও স্কুলে শিক্ষার্থীদের খাবার সরবরাহে ভূমিকা রাখছে তাঁর দেশ। এ ছাড়া বাংলাদেশের জৈবপ্রযুক্তি খাত ও কৃষি খাতে নীতিগত সহায়তার পাশাপাশি ভিটামিনসমৃদ্ধ গোল্ডেন রাইস উন্নয়নেও যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করছে।

সভায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের তথ্য কর্মকর্তা কার্লা আর থমাস ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের কৃষিবিষয়ক সাংবাদিকেরা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।