ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতার বিরুদ্ধে পরোয়ানা

রাজধানীর গুলিস্তানে সড়ক ও ফুটপাত থেকে দোকান উচ্ছেদের সময় অস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত দুই নেতার জামিন বাতিল করে গতকাল রোববার তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। এ দুজন হলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান।
গত ২৭ অক্টোবর গুলিস্তানের ফুটপাত-সড়ক থেকে অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে অভিযান চালায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এ সময় ডিএসসিসির কর্মচারী ও একদল যুবকের সঙ্গে হকারদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। একপর্যায়ে ওই যুবকদের মধ্যে সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানকে আগ্নেয়াস্ত্র থেকে ফাঁকা গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায়। শাহবাগ থানায় এ ঘটনায় করা মামলায় ১৭ নভেম্বর সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমান আদালতে হাজির হয়ে জামিন পান।
ওই মামলায় গতকাল সাব্বির ও আশিকুরের আদালতে হাজিরার দিন থাকলেও তাঁরা উপস্থিত হননি। আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদুর রহমান বলেন, গতকাল এ মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল ও আসামিদের হাজিরার দিন ধার্য ছিল। দুই আসামির পক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন ইউসুফ হাজিরা দাখিল করেন। কিন্তু জামিন বাতিল ও রিমান্ড বিষয়ে শুনানিকালে তাঁদের ডেকে পাওয়া যায়নি। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার-সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৮ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।
আইনজীবী শাহাদত হোসেন ভূঁইয়ার মাধ্যমে ১৭ নভেম্বর সাব্বির ও আশিকুর ওই আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। একই আদালত সেদিন তাঁদের জামিন দিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার মিরাশ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের হাতে যে অস্ত্র ছিল, ওই অস্ত্রের উৎস, তা বৈধ কি না—এসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইমরানুল ইসলাম ওই দুই আসামির জামিন বাতিল চেয়ে এবং তাঁদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে সাব্বির ও আশিকুরের ফাঁকা গুলিবর্ষণের ছবি প্রথম আলোয় ছাপা হয়। সাব্বির থাকেন পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজারে। ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, জামিন পাওয়ার পর ১৭ নভেম্বর রাতে সাব্বিরকে কিছুক্ষণের জন্য এলাকায় দেখা গেলেও এরপর আর দেখা যায়নি। আশিকুর থাকেন ওয়ারীর র্যাং কিন স্ট্রিটে।