জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে চলন্ত ট্রেনের পরিচালকের ফোন কল পেয়ে গুরুতর অসুস্থ নারীকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ওই নারী এখন ভালো আছেন।
গতকাল রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাংলাদেশ পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লালমনি এক্সপ্রেস ট্রেনের পরিচালক আক্তারুল ইসলাম ফোন করেন। আক্তারুল ইসলাম জানান, তাঁর ট্রেনে একজন অসুস্থ নারী যাত্রী কাতরাচ্ছেন এবং তাঁর রক্তপাত হচ্ছে। তিনি ইতিমধ্যে ট্রেনে চিকিৎসক যাত্রী আছেন কি না, খোঁজ নিয়েছেন, কিন্তু ট্রেনে কোনো চিকিৎসক যাত্রী নেই। তিনি আরও জানান, ট্রেনটি বর্তমানে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি অতিক্রম করেছে, পরবর্তী স্টপেজ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া পৌঁছাতে আরও প্রায় ৫০ মিনিট সময় লাগবে। একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করতে পারলে তিনি অসুস্থ যাত্রীকে উল্লাপাড়া স্টেশনে নামিয়ে দেবেন।
৯৯৯ থেকে তাৎক্ষণিক সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগাযোগ করে রেলস্টেশনে অ্যাম্বুলেন্সে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানায় এবং সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্সের চালকের সঙ্গে ট্রেনের পরিচালকের কথা বলিয়ে দেয়।
রাত পৌনে আটটায় ট্রেনটি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া থামে এবং রোগীকে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৯৯৯ অ্যাম্বুলেন্সের চালককে ফোন করলে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরবর্তী সময়ে অসুস্থ নারীর ভাইয়ের ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ৯৯৯ থেকে ফোনে যোগাযোগ করা হলে অসুস্থ নারীর ভাই দোলা মিয়া (১৭) ৯৯৯–কে জানান, মাসখানেক আগে গর্ভপাত হয়ে তার বোনের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়, কিন্তু তার বোন পুরোপুরি সুস্থ হননি। কিন্তু পথেই তার বোনের বেদনা এবং রক্তপাত শুরু হয়।
জাতীয় জরুরি সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পুলিশের পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, ৯৯৯ থেকে আজ সোমবার সকালে দোলা মিয়াকে ফোন করা হলে সে জানায়, তার বোনের বর্তমান অবস্থা ভালো এবং স্থিতিশীল। এখনো তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে এবং চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাফি করিয়েছেন। তিনি বোনের সংকট মুহূর্তে সহায়তা করার জন্য ৯৯৯–এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।