চট্টগ্রামে উড়ালসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করবে সিটি করপোরেশন
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কাছে নগরের তিনটি উড়ালসড়ক ও একটি ওভারপাস হস্তান্তর করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। নগরের টাইগারপাসে অস্থায়ী নগর ভবনে আজ রোববার বিকেলে এক অনুষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের কাছে এগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন সিডিএর চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম। এখন থেকে সিটি করপোরেশন এসব উড়ালসড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করবে।
অনুষ্ঠানে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, সিডিএ বিভিন্ন সময়ে তিনটি উড়ালসড়ক ও একটি ওভারপাস নির্মাণ করেছে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের সক্ষমতা সিডিএর নেই। আর আইনি বাধ্যবাধকতাও রয়েছে। এখন সিডিএ এগুলো করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিয়েছে। এগুলোর কিছু সংস্কারকাজ প্রয়োজন।
সিডিএর চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম বলেন, আইন অনুযায়ী স্থানীয় সংস্থার কাছে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য উড়ালসড়কগুলো হস্তান্তর করার কথা ছিল। কিন্তু করা হয়নি। এ বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। হস্তান্তরের ব্যাপারে মন্ত্রণালয় রাজি হয়েছে।
সিডিএ গত আট বছরে ৯০২ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন এলাকায় তিনটি উড়ালসড়ক ও একটি ওভারপাস নির্মাণ করে। এর মধ্যে নগরের বহদ্দারহাটে ১৪৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এম এ মান্নান উড়ালসড়কের কাজ শেষ হয় ২০১৪ সালের জুনে। ৫৮ কোটি ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে কদমতলী উড়ালসড়ক এবং ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়ানহাট ওভারপাস নির্মিত হয় ২০১৫ সালের জুনে। আর ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে মুরাদপুর পর্যন্ত নির্মিত আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হয় গত বছরের ডিসেম্বরে।
সিডিএ এগুলো নির্মাণ করলেও রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছিল না। প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ না থাকায় উড়ালসড়কের ওপরে প্রায়ই ময়লা ও ধুলা জমে থাকে। বিল পরিশোধ না করায় অধিকাংশ সময় সড়কবাতিগুলোও বন্ধ থাকে। এ ছাড়া অল্প বৃষ্টিতেই উড়ালসড়কে পানি জমে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
গত ৯ অক্টোবর ঢাকায় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আন্তমন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উড়ালসড়ক ও ওভারপাস সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস ও নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান।