গ্যাসের দাম বাড়িয়ে পণ্যের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র চলছে: মির্জা ফখরুল

জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সেমিনারে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ২৩ মার্চ, ঢাকা
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছে, আহাজারি করছে। সে সময় আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়ানোর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

আজ বুধবার বিকেলে ‘স্বাধীনতা সংগ্রামে পেশাজীবীদের ভূমিকা: বর্তমান প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এই সভার আয়োজন করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকার আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। অথচ আমাদের যা গ্যাস আছে, তা তোলার কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে না। গ্যাসের অপচয় কমিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার চেষ্টাও হচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘গ্যাস আমদানি করা হচ্ছে। কারা আমদানি করছে? এই সরকারের যাঁরা উপদেষ্টা, যাঁরা সরকারের প্রশ্রয় নিয়ে একচ্ছত্রভাবে ব্যবসা করছেন, তাঁরা গ্যাস আমদানি করছেন।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ যখন মানুষ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জন্য লাইন দিচ্ছে, সে সময় আবার গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রতিটা জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। সরকারের মদদপুষ্ট ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করে জনগণকে দুঃসহ অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছেন।’

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে তওবা করতে বলেছেন। এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি তাঁকে বলতে চাই, জনগণের কাছে করজোড়ে ক্ষমা চান আপনাদের কৃতকর্মের জন্য। (আপনারা) যে মানুষ হত্যা করেছেন, যাদের ওপর অন্যায়–অত্যাচার নির্যাতন করছেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছেন, ৩৫ লাখ রাজনৈতিক কর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন, ছয় শতাধিক মানুষকে গুম করেছেন। এসবের জন্য ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করুন।’

এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের দাবিও জানান মির্জা ফখরুল।
এদিকে আলোচনা সভায় কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, ‘শেখ হাসিনা মানুষের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেম সৃষ্টি করতে চেয়েছেন, দেশপ্রেম সৃষ্টি করতে চাননি। এই সরকারের অধীনে কল্যাণ পার্টি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না।’

সভায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন পেশাজীবী সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।