গৃহবধূ ও শিশুপুত্রকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড, শ্বশুর-শাশুড়ির যাবজ্জীবন

আদালত
আদালত

যৌতুকের জন্য খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলার বড়পিলাক এলাকায় স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় শ্বশুর ও শাশুড়িকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হোসেন আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ব্যক্তির নাম ছাবের আলী (২৯)। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া আসামি ছাবেরের বাবা মো. মাহবুব আলী (৫৪) ও মা রেনু আরা বেগম (৪৯)। একই মামলায় অপর আসামি মো. শাহাজাহানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বিধান কানুনগো সাংবাদিকদের বলেন, এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে। মামলার তিন বছর পর আদালত এ রায় দিয়েছেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ২২ মার্চ রাত ৮টার দিকে বড়পিলাকে যৌতুকের জন্য ছাবের আলী ঘুমন্ত স্ত্রী মাজেদা বেগম (২২) ও ছয় মাসের সন্তান রিদোয়ানকে গলা টিপে হত্যা করেন। পরে এলাকাবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে দেন। এ ঘটনায় মাজেদা বেগমের পিতা সাহাব উদ্দিন বাদী হয়ে মেয়ের জামাই সাবের আলী, শ্বশুর মো. মাহবুব আলী, শাশুড়ি রেনু আরা বেগম ও দেবর শাহজাহানকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

মাজেদা বেগমের পিতা সাহাব উদ্দিন রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে সাবের আলী এক লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় মেয়ে ও নাতিকে হত্যা করেছেন। তিনি এ রায়ের দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান।