খুলনা জিলা স্কুলের এসএসসি ১৯৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত
খুলনা জিলা স্কুলের এসএসসি ১৯৯৯ সালের ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী এ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের পরের দিন সকাল সকাল সাবেক শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে খুলনা জিলা স্কুল মাঠ। ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়ের ওই ব্যাচের পুনর্মিলনী উৎসবে সাবেক শিক্ষার্থীরা মেতে উঠেছিলেন আনন্দে, যেন খুঁজে পেয়েছিলেন নিজেদের শৈশব।
সবাইকে আবার একসঙ্গে পেয়ে যেন কর্মজীবনের সব ক্লান্তি দূর হয়ে গিয়েছিল সাবেক শিক্ষার্থীদের। পুরোনো ক্যাম্পাসকে নতুন করে ক্যামেরাবন্দী করে রাখতে ছিল অনেক কসরত। প্রাণের বিদ্যালয়ে মধুর মিলনে সতীর্থরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও কোলাকুলির মাধ্যমে বন্ধুত্বের নতুন বন্ধন তৈরি করেন। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই একই মিশেলে মিলিত হন।
বিদ্যালয়ের ৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনী উয্যাপন পরিষদের আহ্বায়ক বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রেজওয়ান ওয়ালিদ বলেন, ২০ বছর পর খুলনা জিলা স্কুলের ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ ব্যাচ, বন্ধুত্বের টানে শৈশবের মধুর স্মৃতিচারণায় ঈদের দ্বিতীয় দিন ব্যতিক্রমধর্মী মিলনমেলার আয়োজন করেছে। ব্যাচের সদস্যদের অনেকেই দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পেশায় নিয়োজিত।
সাবেক শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা শৈশব-কৈশোরের খোঁজে এখানে ছুটে এসেছি, স্বপ্নের দরবারে, স্মৃতির আঙিনায়।
রঙিন বেলুন উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এ আয়োজনে উদ্বোধন করেন জিলা স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের বর্তমান প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন রচিত হয়। সুখ-দুঃখের স্মৃতি রোমন্থন করার সুযোগ ঘটে। এর মাধ্যমে পরস্পরের মধ্যে ভ্রাতৃত্ব ও সৌহার্দ্যের বন্ধন আরও সুদৃঢ় হয়।
উদ্বোধনের আগে ৯৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী সবচেয়ে কম বয়সে মৃত্যু বরণ করা টেস্ট ক্রিকেটার মানজারুল ইসলাম রানাসহ প্রয়াত সহপাঠীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
মিলনমেলায় ছিল, উপহার ব্যাগ প্রদান, শোভাযাত্রা, শরীর চর্চা, শ্রেণিকক্ষে পাঠদান, টিফিন, বিদ্যালয় পলায়ন, খেলাধুলা, প্রমোদতরীতে ওঠা, ওয়াই সি রিসোর্ট প্রবেশ, জলসা, বার-বি-কিউ প্রভৃতি।