খালেদাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে সাংবাদিকদের বিবৃতি
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ১ হাজার ৫৫৭ সাংবাদিক। এক যুক্ত বিবৃতিতে খালেদা জিয়াকে স্থায়ী জামিনের মাধ্যমে জেল থেকে মুক্তি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়া মারাত্মক অসুস্থ। তাঁর অবস্থা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এ পরিস্থিতিতে তাঁর চিকিৎসা নিয়ে রাজনীতি কোনোমতে বাঞ্ছনীয় নয়। খালেদা জিয়ার বয়স এখন ৭৬ বছর উল্লেখ করে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, ‘এই বয়সেও তিনি কারাবন্দী। অবশ্য সরকারের বিশেষ অনুমতিতে শর্তযুক্ত মুক্তিতে তিনি এখন নিজ বাসভবনে অবস্থান করছেন।’
সাংবাদিকেরা বিবৃতিতে বলেন, ‘দেশের একজন শীর্ষ রাজনীতিক, একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিক, একজন নারী হিসেবে ও “জেলবন্দী” ব্যক্তির যথাযথ সুচিকিৎসা পাওয়া ন্যূনতম মানবাধিকারের অংশ। তাঁর মৌলিক অধিকার ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতি হিসেবে দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আদালতের মাধ্যমে তাঁকে স্থায়ী জামিনের মাধ্যমে মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাই।’
বিবৃতিদাতা সাংবাদিকেরা আশা করেন, দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ হিসেবে সামগ্রিক অবদান ও তাঁর বার্ধক্যের কথা বিবেচনা করে সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে খালেদা জিয়ার প্রতি সহানুভূতিশীল আচরণ প্রদর্শন করবে। খালেদা জিয়া যাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হলে সরকারের এই পদক্ষেপকে দেশবাসী ইতিবাচক হিসেবে দেখবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠান। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন নিউজ টুডের সাবেক সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, নয়া দিগন্তের সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, দৈনিক সংগ্রামের সম্পাদক আবুল আসাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, দৈনিক দিনকালের সম্পাদক রেজোয়ান সিদ্দিকী, দ্য নিউ নেশন পত্রিকার সম্পাদক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সাংবাদিক ও কবি আবদুল হাই শিকদার, দৈনিক আমার দেশের নির্বাহী সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ডিআরইউর সভাপতি মুরসালিন নোমানী প্রমুখ।