খাদ্যসহায়তার চালে দুর্গন্ধ, পোকায় ভরা

করোনার কারণে অসহায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীর মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এতে ১০ কেজি চাল, ডালসহ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছিল। কিন্তু এ চাল পেয়ে হতাশ হয়েছেন পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা।

তাঁদের অভিযোগ, চালগুলোতে দুর্গন্ধ, পোকায় ভরা। বুধবার রায়পুর পৌরসভা কার্যালয়ে এসব চালসহ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

পরিচ্ছন্নতাকর্মী পারুল আক্তার বলেন, লকডাউনে তাঁদের কাজ নেই। আট সদস্যের পরিবার তাঁর। সাত-আট দিন ধরে কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। পৌর কর্তৃপক্ষ চাল দেওয়ার খবরে ভীষণ খুশি হন। কিন্তু দুর্গন্ধ আর পোকায় ভরা চাল পেয়ে হতাশ হয়েছেন।

জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. মহসিন বলেন, পৌরসভায় সরবরাহ করা চালগুলো আগের ছিল। এর মধ্যে অল্প কিছু চাল পোকা-দুর্গন্ধ হতে পারে।

রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘চালে দুর্গন্ধ-পোকা থাকার বিষয়টি কয়েকজন আমাকে জানিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি অল্প কিছু চালে সমস্যা ছিল। খাদ্যগুদাম থেকে এ ধরনের চাল সরবরাহ করা ঠিক হয়নি।’

পৌরসভা কার্যালয় সূত্র জানায়, করোনার কারণে জেলা প্রশাসক রায়পুর পৌরসভায় সাড়ে চার মেট্রিক টন চাল ও দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। এসব বরাদ্দ ৬০০ অসহায় মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হবে। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে থাকবে ১০ কেজি চাল এবং এক কেজি করে ডাল, তেল, চিনি ও মুড়ি। গতকাল শতাধিক পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে দিয়ে বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়।

চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে রায়পুর পৌরসভার মেয়র গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের সাংসদ নুরউদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রায়পুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার প্রমুখ।