খাগড়াছড়িতে প্রতিবন্ধী তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ: ৩৬ ঘণ্টায় ধরা পড়েনি কেউ
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের একটি বাড়িতে দুর্বৃত্তরা ডাকাতির পর পরিবারের প্রতিবন্ধী তরুণীকে (২৬) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষণ ও ডাকাতির ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। তবে ঘটনার ৩৬ ঘণ্টা পরও এর সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
গত বুধবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই তরুণী খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম আবছার বলেন, বাড়ির গৃহিণী বাদী হয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ধর্ষণ ও ডাকাতির অভিযোগে দুটি মামলা করেছেন।
গোলাম আবছার আজ শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে জোর চেষ্টা চলছে। শিগগিরই তারা ধরা পড়বে।
তরুণীর বাবা বলেন, তিনি অনেক দিন ধরে অসুস্থ। তাই তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে বাড়ির সবাই তখন ঘুমে আচ্ছন্ন। হঠাৎ দরজা ভাঙার শব্দ হলে তিনি বাতি জ্বালান। এর পরপরই ডাকাতেরা বাড়িতে ঢুকে সবার হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে এবং লুটপাট শুরু করে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার তরুণীর মা বলেন, রাত দুইটার দিকে হঠাৎ দরজা ভেঙে ডাকাতেরা বাড়ির ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা সংখ্যায় নয়জন ছিল।
প্রত্যেকের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে মনে হয়েছে। তাদের মধ্যে চার–পাঁচজনের মুখে মাস্ক ছিল। তাঁদের অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে ডাকাতেরা একটি কক্ষে তাঁর বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। এর দুই ঘণ্টা পর ভোর চারটার দিকে ডাকাতেরা কানের দুল, গলার চেইন, চুড়ি, আংটিসহ স্বর্ণালংকার, ২০ হাজার টাকা ও চারটি মুঠোফোন নিয়ে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার পরও তাঁরা ভয়ে অনেকক্ষণ কোনো শব্দ করেননি। ভোর হওয়ার পর তাঁরা চিৎকার করলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসেন।
গতকাল সকালে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কের পাশ ঘেঁষে ভুক্তভোগীদের বাড়ি। অনেকটা বিচ্ছিন্ন স্থানে বাড়িটির অবস্থান হওয়ায় প্রতিবেশী লোকজন কিছুই জানতে পারেননি।