কড়াইল বস্তিতে ৪০০ ঘর ছাই
‘আমার সব পুইড়া গেল রে। আমি অহন পোলা মাইয়ারে কই রাখুম, কী খাওয়ামু?’ চল্লিশোর্ধ্ব বিলকিস একনাগাড়ে আহাজারি করছিলেন। আগুনে তাঁর ঘর আর লাগোয়া দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে গতকাল রোববার অগ্নিকাণ্ডে সাড়ে ৪০০ থেকে ৫০০ কাঁচা ঘর ও দোকান পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দুই সহস্রাধিক মানুষ। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, বস্তির একটি লেপ-তোশকের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো বস্তিতে। আগুনের আকস্মিকতায় নিজ ঘর বা দোকান থেকে কোনো কিছুই বের করে নিয়ে আসতে পারেননি অনেকে।
ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান-বনানীর বুকের মধ্যে গড়ে ওঠা এই বস্তিটি তিন দিকে লেক দিয়ে ঘেরা। সেখানে পোশাকশ্রমিক, রিকশাচালক, দোকানের কর্মচারী, গৃহকর্মীসহ নিম্ন আয়ের মানুষের বাস।
ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান আকন্দ সাংবাদিকদের বলেন, বেলা ২টা ৩৮ মিনিটে আগুনের খবর পাওয়া যায়। এরপর একে একে ১৪টি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করে। সোয়া চারটার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
মাসুদুর রহমান গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, অধিকাংশ ঘরই ১০ বর্গফুটের। এ রকম ৪০০ থেকে ৫০০ ঘর পুড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হতাহতের কোনো খবর তাঁরা পাননি।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।