কোনো জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গেছে। সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়েছে। বৈশ্বিক এই দুর্যোগের কারণে পৃথিবীতে খাদ্যাভাব দেখা দিতে পারে। কিন্তু মহান স্রষ্টা বাংলাদেশকে উর্বর জমি দিয়েছেন। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে দেশের কোনো জমিই অনাবাদি রাখা যাবে না।
আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তিক কৃষকের মধ্যে সবজিবীজ, ধান কাটার মেশিন বিতরণ ও বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী বিতরণ উপলক্ষে সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম তালুকদার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কারিমা আক্তার, রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা শেখ ফরিদ উদ্দিনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ একটি খাদ্যঘাটতির দেশ ছিল। সেই খাদ্যঘাটতির দেশকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গতিশীল নেতৃত্ব, সময়োপযোগী পদক্ষেপ ও সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর করেছেন।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণ
তথ্যমন্ত্রী আজ দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মজুমদারখীল উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তাঁদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন, দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন।
এ সময় তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ৫০ হাজার পরিবারকে সরকারি-বেসরকারি খাদ্যসহায়তা ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় আনা হয়েছে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রাঙ্গুনিয়ায় আমার মা–বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এক মাস ধরে আমরা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্যসহায়তা দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’
এনএনকে ফাউন্ডেশনের স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়ন প্রতিনিধি মো. ইদ্রিছের সভাপতিত্বে ও আওয়ামী লীগের নেতা ভাস্কর সাহার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার।